মানুষের সেবাই যার জীবনের মূল লক্ষ্য— এমনই একজন অসাধারণ মানুষ সাংবাদিক মহিউদ্দিন। তিনি শুধু একজন সাংবাদিক নন, তিনি তার এলাকার মানুষের কাছে “মানবিক মহিউদ্দিন” নামেই বেশি পরিচিত।
একটি সৎ ও ধর্মীয় মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া মহিউদ্দীন ছোটবেলা থেকেই দেখেছেন মানুষের কষ্ট, দুঃখ ও অসহায় জীবনযাপন। সেই বাস্তব চিত্র তার হৃদয়ে গেঁথে যায় গভীরভাবে। তাই বয়সের তুলনায় অনেক আগেই তিনি প্রতিজ্ঞা করেন— “আমি মানুষের পাশে থাকব, যতটুকু পারি, অন্যের মুখে হাসি ফোটাব।”
তার গ্রামের মানুষ আজ গর্ব করে বলে— “আমাদের মহিউদ্দীন ভাই গরীবের বন্ধু, দুঃখীর আশ্রয়।” কেউ চিকিৎসার খরচের অভাবে বিপদে পড়লে, কারো ঘরে অভাব দেখা দিলে, মহিউদ্দিন ছুটে যান নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্যের হাত বাড়াতে।
পেশায় সাংবাদিক হলেও, তার সাংবাদিকতা কেবল খবর সংগ্রহে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি কলমকে ব্যবহার করেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে, বঞ্চিত মানুষের কথা সমাজের সামনে তুলে ধরতে। তার লেখায় যেমন সত্যের ছোঁয়া আছে, তেমনি আছে মানবিকতার উষ্ণতা।
তিনি বিশ্বাস করেন— “মানুষ যদি মানুষের জন্য না বাঁচে, তবে জীবনের কোনো মূল্য নেই।”
এই বিশ্বাসকেই তিনি জীবনের মূলমন্ত্র হিসেবে নিয়েছেন। তার প্রতিটি কাজ, প্রতিটি পদক্ষেপে ফুটে ওঠে মানবতার সেবা।
আজ মানবিক মহিউদ্দীন শুধু তার গ্রামের নয়, অনেকের হৃদয়ের মানুষ হয়ে উঠেছেন।
তার এই মানবিকতা, নিঃস্বার্থ সেবা ও মানুষকে ভালোবাসার মনোভাব প্রমাণ করে— এখনো পৃথিবীতে ভালো মানুষের অভাব হয়নি।
মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া এক নাম — মানবিক মহিউদ্দীন।