গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলন তোপের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হোন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার ।হাসিনার দেশত্যাগের পর একে একে বের হয়ে আসে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এর এমপি মন্ত্রী ও অসৎ পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম। এরই মধ্য পুলিশে সাবেক দুই আইজিপি ও সাবেক ডিসি মশিউর সহ বেশ কয়েকজন ওসি আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে রয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের হত্যার মামলার আসামী হয়ে।
সাম্প্রতিক সময়ে অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এস আই ইমরানের বিরুদ্ধে।টাকার বিনিময়ে এস আই ইমরান হোসেন ভিন্ন মতাদর্শের রাজনীতি করা ছাত্র ও যুবকদের ধরে নিয়ে এসে মোটা অংকের টাকা দাবী করতেন ও টাকা না দিলে বিএনপি জামায়াতের ট্যাগ লাগিয়ে জ্বালাও পোড়াও মামলা দিতেন তিনি।
সোনারগাঁও থানার স্থানীয় কিছু লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় সোনারগাঁও থানা এলাকার আতংকের নাম এসআই ইমরান হোসেন।তার কথা না শুনলে মাদক সহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতো স্থানীয়দের ।
সোনারগাঁও থানার পাশে দুইজন দোকানদারের কাছে ইমরান হোসেন দারোগার বিষয় জানতে চাইলে তারা বলেন,এসআই ইমরানের মতো এমন খারাপ পুলিশ অফিসার আমাদের জীবনে দেখিনি, ফুটপাত থেকে শুরু করে অটোরিকশা সব জায়গা থেকে চাঁদা নেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোগরাপাড়া চৌরাস্তার এক ব্যবসায়ী বলেন,এস আই ইমরান হোসেনের টাকার দরকার হলেই বোধহয় আমাকে ধরতে আসতো,আমাকে যে কতটা হয়রানি মানুষিক নির্যাতন করেছে সেটা আমি বলে বোঝাতে পারবোনা। আমি সহ আমাদের আশপাশের অনেক দোকানদার এস আই ইমরান হোসেন আসলেই আমরা কিছু টাকা রেখে দিতাম হয়রানির হাত থেকে বাচার জন্য। তিনি চাঁদা না দিলে থানায় নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও করতেন।
সুধু তাই নয় থানা এলাকায় তার ব্যক্তিগত বাহিনী দিয়ে এলাকার প্রভাবশালীদের ছেলেদের নিয়ে চালানো হতো নির্মম নির্যাতন। চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে না পারলে জোর করে নেওয়া হতো মোবাইল অনেকে পরে টাকা দিয়ে মোবাইল ছাড়িয়ে নিতো তার কাছ হতে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তিনি আমাকে মাদক দিয়ে আমার কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন, আমি টাকা দিতে পারিনি বিধায় আমাকে জেল হাজতে পাঠান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন আমি পাম্পের পাশে দাড়িয়ে ছিলাম, এস আই ইমরান হোসেন এসে আমাকে বলেন তুই যদি আমাকে ৫ লাখ টাকা না দিস তাহলে তোকে মাদক/বিএনপির মামলা দিয়ে ফাসিয়ে দিব। পরে আমাকে বিএনপির মামলায় ফাসিয়ে দেয়। আমি উক্ত মামলায় ৭ মাস কারাবরণ শেষে জামিনে মুক্ত হই।
তিনি থানা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব্য কায়েম করছেন ।সে সোনারগাঁও এলাকায় দাবাং নামে পরিচিত। অনেকে তার সোর্স হিসেবে কাজ করে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন সময় মানুষকে হয়রানি করেন তার সোর্সরা। ছাএজীবনে সে ছাএলীগ করেছে এবং বিএনপি পিটিয়েই সে পুলিশ হয়েছে, সব জায়গাতেই সে এবং তার পরিবার আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এটা বলতেন।
খোজ নিয়ে জানা গিয়েছে এস আই ইমরান হোসেন এখন ঢাকার ধানমন্ডি থানা কর্মরত আছেন।
এই বিষয়ে এস আই ইমরান হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন । পুলিশ এত খারাপ নয় তাহলে তারা সাধারণ মানুষের সাথে মিলে মিশে চলতে পারতো না । আপনারা সঠিক তদন্ত করে দেখবেন আশা করি । যারা এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে তারা কি লাভ পাচ্ছে জানিনা ।