চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজ কমিটির ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধান ফটকে তালা দিয়েছে কে বা কারা। এতে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। সেনা বাহিনীর হস্তক্ষেপে সেই তালা ভেঙ্গে কলেজে স্বাভাবিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এবং কেউ পুনরায় আবার এই ঘটনা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর উপজেলার ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রধান ফটকে তালা মেরে দেয় কে বা কারা। এসময় কলেজে সাধারন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এসে তালা মারা দেখে ফিরে যায়। কিছু শিক্ষার্থী কলেজ বন্ধের প্রতিবাদ করেন, আবার কিছু শিক্ষার্থী কলেজের কমিটির বিষয়ে মিছিল করেন। এতে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর লোকজন এসে কলেজের প্রধান ফটকের তালা ভেঙ্গে দেয়। এবং কলেজের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থার নেওয়ার নির্দেশ দেন। এদিকে স্থানীয়রা পুনরায় এই কাজ যাতে না করে সেই বিষয়ে সর্তক করে দেয়।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটি গত ৬ নভেম্বর জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় অনুমোদন দেয়। কিন্তু সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্ধি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ হান্নানের অনুসারি উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক ডাঃ আবুল কালাম আজাদকে না দেওয়ায় উত্তপ্ত শুরু হয়। কলেজের স্থানীয় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কলেজে কোন রাজনীতি চাইনা। আমরা পড়াশুনা করতে এসেছি পড়াশুনা করবো। কলেজ বন্ধ থাকলে আমাদের ক্ষতি হবে। আমরা চাই কলেজের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসুক। কে সভাপতি হবে না হবে তা আমাদের দেখার বিষয় না। কোন প্রকার রাজনীতি কলেজে হোক তা আমরা চাই না।
তবে এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ একাধিক ব্যক্তি ও ছাত্রের কাছ থেকে তালা মারার বিষয়ে জানতে চাইলে কে মেরেছে এ বিষয়ে কোনো সঠিক তথ্য জানা যায়নি।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ বলেন, আমি সকালে শুনেছি আমাদের কলেজে কে বা কারা তালা মেরে দিয়েছে। আমি বিষয়টি সভাপতিকে যানিয়েছি।
এডহক কমিটির সভাপতি মাহাবুব মোরর্শেদ কচি বলেন, আমাকে সভাপতি করে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় একটি কমিটি দিয়েছে। এম এ হান্নানের অনুসারী আবুল কালাম আজাদ, সে এই কমিটি বাতিল করার জন্য সকল ধরনের নোংরামি করছে। সে রাজনীতিক দলকে ব্যবহার করে স্থানীয় মানুষের মাজে বিভাজন সৃষ্টি করছে। সে গত দুই দিন আগে আমাকে অপহরন ও মারার চেষ্ঠ করেছে। পরে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে। তিনি আরো বলেন, ১৮ ই নভেম্বর সোমবার তিনি কলেজের বিভিন্ন অভিভাবক ও সুশীল সমাজদের নিয়ে কলেজ অডিটোরিয়ামে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের সাথে মত বিনিময় করেছেন। এবং তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা তার সাথেই আছেন। একটি পক্ষ হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ে এলাকায় পোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।