ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মন্ত্রণালয়ে প্রকৃত জেলেদের সহায়তা নিশ্চিত করা হবে – উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একটা নতুন বাংলাদেশের কথা বলছি। আগের উদাহরণ দিয়ে লাভ নেই। আগের মতো আমরা করবো না। আমরা যেন সফল হতে পারি সেই চেষ্টা করবো। জেলেদের যে তালিকা করা হতো, যাদের বিশেষ পদ্ধতিতে করা হতো, সেগুলো এবার থাকবে না। ফলে আশা করছি তালিকা অনেকটা স্বচ্ছ হবে। প্রকৃত জেলেরা যেন তাদের চাল ও অন্যান্য সবকিছু পায় তা মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত করা হবে।
আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়া সুরেশ্বর লঞ্চঘাট পদ্মা নদীর পাড়ে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জেলেসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সচেতনতা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলেদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আমরা ২২দিন যদি ইলিশ ধরা বন্ধ রাখি, আগামীতে তার চেয়েও বেশি পাব। আমি আপনাদের কথা রাখতে চেষ্টা করবো, আপনারাও কথা দেন এই ২২ দিন আপনারা ইলিশ মাছ ধরবেন না।
তিনি আরও বলেন, আগে ২২ দিনে ২৫ কেজি চাল দেয়া হতো। এখন আমরা বাড়িয়ে ৩০ কেজি চাল দিতে চেষ্টা করবো। এটা আপনাদের ন্যায্য দাবি। পরের মৌসুমগুলোতে যেন আরও বাড়াতে পারি। যারা সল্প সুদে ঋণ দেয় তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলবো যাতে এই এলাকার জেলেদের সল্প সুদে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা যায়।
উপদেষ্টা বলেন, দাম বেশি হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ইলিশ খেতে পারে না। এটা বড় ধরনের অন্যায়। এটা থেকে বেড়িয়ে আসতে আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে। এ সময়টা যদি আপনারা (জেলেরা) মেনে চলেন। আর ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে পারি, তাহলে অবশ্যই বাজারে ইলিশের দাম কম হবে। এছাড়া নড়িয়া সুরেশ্বর ঘাটকে একটি মৎস্য অবতরণ ঘাট করার কথা জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, আমরা চেষ্টা করবো ইলিশের যে স্টক আছে, সেটি যেন বৃদ্ধি পায়। সে কারণে মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের যে অভিযান বা কার্যক্রম আরও জোরদার করছি। সহজে যেন প্রজনন এলাকায় ইলিশ আসতে পারে এবং প্রজনন কেন্দ্র, অভয়াশ্রমগুলোকে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করবো। কেউ যেন অবৈধভাবে ইলিশ স্বীকার করতে না পারে। এছাড়া সাগরেও নিষেধাজ্ঞা আছে। সেটিও পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা সফল করবো। সবাইকে নিয়ে যেন ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে পারি তাও মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টা আছে।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, শরীয়তপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সাদিয়া জেরিন, পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম। এ সময় জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, স্থানীয় ব্যক্তি ও জেলেরা উপস্থিত ছিলেন।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলিফ পরিবহন খাদে : আহত-৩০

মন্ত্রণালয়ে প্রকৃত জেলেদের সহায়তা নিশ্চিত করা হবে – উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

আপডেট সময় ০১:৪৬:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একটা নতুন বাংলাদেশের কথা বলছি। আগের উদাহরণ দিয়ে লাভ নেই। আগের মতো আমরা করবো না। আমরা যেন সফল হতে পারি সেই চেষ্টা করবো। জেলেদের যে তালিকা করা হতো, যাদের বিশেষ পদ্ধতিতে করা হতো, সেগুলো এবার থাকবে না। ফলে আশা করছি তালিকা অনেকটা স্বচ্ছ হবে। প্রকৃত জেলেরা যেন তাদের চাল ও অন্যান্য সবকিছু পায় তা মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত করা হবে।
আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়া সুরেশ্বর লঞ্চঘাট পদ্মা নদীর পাড়ে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জেলেসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সচেতনতা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলেদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আমরা ২২দিন যদি ইলিশ ধরা বন্ধ রাখি, আগামীতে তার চেয়েও বেশি পাব। আমি আপনাদের কথা রাখতে চেষ্টা করবো, আপনারাও কথা দেন এই ২২ দিন আপনারা ইলিশ মাছ ধরবেন না।
তিনি আরও বলেন, আগে ২২ দিনে ২৫ কেজি চাল দেয়া হতো। এখন আমরা বাড়িয়ে ৩০ কেজি চাল দিতে চেষ্টা করবো। এটা আপনাদের ন্যায্য দাবি। পরের মৌসুমগুলোতে যেন আরও বাড়াতে পারি। যারা সল্প সুদে ঋণ দেয় তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলবো যাতে এই এলাকার জেলেদের সল্প সুদে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা যায়।
উপদেষ্টা বলেন, দাম বেশি হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ইলিশ খেতে পারে না। এটা বড় ধরনের অন্যায়। এটা থেকে বেড়িয়ে আসতে আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে। এ সময়টা যদি আপনারা (জেলেরা) মেনে চলেন। আর ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে পারি, তাহলে অবশ্যই বাজারে ইলিশের দাম কম হবে। এছাড়া নড়িয়া সুরেশ্বর ঘাটকে একটি মৎস্য অবতরণ ঘাট করার কথা জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, আমরা চেষ্টা করবো ইলিশের যে স্টক আছে, সেটি যেন বৃদ্ধি পায়। সে কারণে মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের যে অভিযান বা কার্যক্রম আরও জোরদার করছি। সহজে যেন প্রজনন এলাকায় ইলিশ আসতে পারে এবং প্রজনন কেন্দ্র, অভয়াশ্রমগুলোকে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করবো। কেউ যেন অবৈধভাবে ইলিশ স্বীকার করতে না পারে। এছাড়া সাগরেও নিষেধাজ্ঞা আছে। সেটিও পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা সফল করবো। সবাইকে নিয়ে যেন ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে পারি তাও মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টা আছে।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, শরীয়তপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সাদিয়া জেরিন, পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম। এ সময় জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, স্থানীয় ব্যক্তি ও জেলেরা উপস্থিত ছিলেন।