গত কয়েকদিন ধরে মুন্সীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভুমিহীন পরিবারসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারর এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ব্যবসা বাণিজ্য ও গবাদি পশু পালনে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জলাবদ্ধতায় গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাঘাটসহ বসত বাড়ীর উঠানে পানি জমেছে হাঁটু পর্যন্ত। রান্নাঘর,বাথরুমসহ টিউবওয়েলে হাঁটু পর্যন্ত পানি পেরিয়ে যেতে হচ্ছে। পানিবন্দি পরিবারের লোকজনের রান্নার ব্যবস্থাটিও নেই। অনেকেই গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে পাশের গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পদ্মানদী থেকে অনেক গুলোখাল উৎপত্তি হয়ে বাঘড়া গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে আড়িয়াল বিলে পতিত হয়। বর্তমানে বাঘড়া গোয়ালবাড়ী ও বাঘড়া বাজার খালসহ বেশীরভাগ খালগুলো স্থানীয় প্রভাবশালী মহল প্রভাব খাটিয়ে ভরাট করে পাকা স্থাপনা তুলে পানি প্রবাহ পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এজন্য পানি বের হতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে অনেক পরিবার আজ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বাঘড়া বেপারীবাড়ির গ্রামের ফয়সাল বেপারী জানান, পদ্মানদীর তীরে বসবাস করেও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় গত কয়েক দিনের মুষলধারে বৃষ্টিতে আমাদের ৫০-৬০ পরিবারসহ একটি মহিলা মাদ্রাসার পাঁচ ছাত্রছাত্রী দেড়মাস যাবৎ পানিবন্দি। জলাবদ্ধতার কারণে কোথাও যেতে পারছি না।
স্থানীয় রব ঢালী বলেন,আমাদের বাড়ির পাশের গোয়ালবাড়ির খাল স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা আটকিয়ে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট তুলার কাণে আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়েছি।
ফাহিমা বেগম জানান, পানি কারণে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বাথরুমে যেতে পারি না রান্না ঘরে গিয়ে রান্না করতে পারি না। খুব অসহায় অবস্থায় আছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান জানান, বাঘড়া বাজারের প্রবেশের মুল পথ ও আমার ওয়ার্ডের মসজিদ,মন্দিরসহ প্রায় পাঁচ পরিবার জলাবদ্ধতার কারণে আজ পানিবন্দি। এটার কারণ পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নাই এবং পূর্বে কিছু লোক সরকারী খাল গুলো ভরাট করে পানি প্রবাহ পথ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি যাতে দ্রুত বন্ধ হয়ে যাওয়া গুলো উদ্ধার করে জলাবদ্ধতা নিরসন করেন।