ঢাকা ১২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ১৮ জন ছাত্র ছাত্রীকে বহিষ্কার ও বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি 

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করেছে কলেজ একাডেমিক কাউন্সিল।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ফারুক আহমেদকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ দিলরুবা জেবার সভাপতিত্বে বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরের কলেজের সম্মেলনকক্ষে এ একাডেমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
 দীর্ঘ দিনের সাধারণ শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক নির্যাতন ও যৌন হয়রানির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে  ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি রহস্যময়ী নেত্রী মাশতুরা মোশাররফ ঐষিকা ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান জীম সহ মোট ১৮ জন ছাত্র ছাত্রীকে আজীবন বহিষ্কার সহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে  এবং  কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে ক্যাম্পাস থেকে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাশতুরা মোশাররফ ঐষিকা ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান জীমকে ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সনদ স্থগিতসহ মামলা করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া  নুজহাত তাবাসসুমকে আজীবন ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে, নাইম আল ফুয়াদ খানকে পাঁচ বছরের জন্য ইন্টার্নশিপ স্থগিত সহ  আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ও ছাত্রাবাস থেকে আজীবন বহিষ্কার ও মামলা করার সুপারিশ করা হয়েছে,  সৌরভ পাল ও ইমরান হোসেনকে পাঁচ বছরে জন্য ইন্টার্নশিপ স্থগিত ও আজীবন ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার ,  আশরাফুল কবিরকে চার বছরের জন্য ইন্টার্নশিপ স্থগিত ও আজীবন ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার ,আল নাহিয়ান খানকে তিন বছরের জন্য ইন্টার্নশিপ স্থগিত ও ছাত্রাবাস থেকে আজীবন বহিষ্কার, আজিজুল হক (প্রান্ত) এবং ২৯তম ব্যাচের সাদমান ও ইফতেখার আহমেদকে দুই বছর একাডেমিক কার্যক্রম থেকে ও আজীবন ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার ,  অনুজ বিশ্বাসকে এক বছর একাডেমিক কার্যক্রম থেকে ও আজীবন ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার, মুসুক উল্লাহ এবং  আকিফুর ফারহান, প্রান্তিক চন্দ্র মোহন্ত, তাজবিন আহমেদ, মাহমুদুল হাসান, শামীম রেজাকে ছয় মাস একাডেমিক কার্যক্রম থেকে ও ছাত্রাবাস থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে  কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাশতুরা মোশাররফ ঐষিকার ও সাধারণ সম্পাদক  জিমের  মোবাইলে  যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের পাওয়া যায়নি ।
 ১৮ জন ছাত্র ছাত্রীর আজীবন বহিষ্কার ও বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের উপ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের একাধিক ছাত্র ছাত্রী ও কলেজের শিক্ষকরা জানান , ঐষিকা প্রথমে সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও সদ্য ক্ষমতাচ্যুত মন্ত্রী আব্দুর রহমানের ছত্র ছায়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলেজে বিভিন্ন ধরণের অপকর্ম চালিয়েছে ও ফায়দা লুটেছে ।
ফরিদপুরের সুধী মহল এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ দিলরুবা জেবা , উপ অধ্যক্ষ ডাঃ স্বপন কুমার বিশ্বাস ও তদন্ত কমিটির প্রধান ডাঃ ফারুক আহমেদ সহ একাডেমিক সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলিফ পরিবহন খাদে : আহত-৩০

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ১৮ জন ছাত্র ছাত্রীকে বহিষ্কার ও বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি 

আপডেট সময় ১২:৪৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করেছে কলেজ একাডেমিক কাউন্সিল।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ফারুক আহমেদকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ দিলরুবা জেবার সভাপতিত্বে বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরের কলেজের সম্মেলনকক্ষে এ একাডেমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
 দীর্ঘ দিনের সাধারণ শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক নির্যাতন ও যৌন হয়রানির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে  ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি রহস্যময়ী নেত্রী মাশতুরা মোশাররফ ঐষিকা ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান জীম সহ মোট ১৮ জন ছাত্র ছাত্রীকে আজীবন বহিষ্কার সহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে  এবং  কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে ক্যাম্পাস থেকে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাশতুরা মোশাররফ ঐষিকা ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান জীমকে ক্যাম্পাসে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সনদ স্থগিতসহ মামলা করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া  নুজহাত তাবাসসুমকে আজীবন ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে, নাইম আল ফুয়াদ খানকে পাঁচ বছরের জন্য ইন্টার্নশিপ স্থগিত সহ  আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ও ছাত্রাবাস থেকে আজীবন বহিষ্কার ও মামলা করার সুপারিশ করা হয়েছে,  সৌরভ পাল ও ইমরান হোসেনকে পাঁচ বছরে জন্য ইন্টার্নশিপ স্থগিত ও আজীবন ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার ,  আশরাফুল কবিরকে চার বছরের জন্য ইন্টার্নশিপ স্থগিত ও আজীবন ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার ,আল নাহিয়ান খানকে তিন বছরের জন্য ইন্টার্নশিপ স্থগিত ও ছাত্রাবাস থেকে আজীবন বহিষ্কার, আজিজুল হক (প্রান্ত) এবং ২৯তম ব্যাচের সাদমান ও ইফতেখার আহমেদকে দুই বছর একাডেমিক কার্যক্রম থেকে ও আজীবন ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার ,  অনুজ বিশ্বাসকে এক বছর একাডেমিক কার্যক্রম থেকে ও আজীবন ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার, মুসুক উল্লাহ এবং  আকিফুর ফারহান, প্রান্তিক চন্দ্র মোহন্ত, তাজবিন আহমেদ, মাহমুদুল হাসান, শামীম রেজাকে ছয় মাস একাডেমিক কার্যক্রম থেকে ও ছাত্রাবাস থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে  কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাশতুরা মোশাররফ ঐষিকার ও সাধারণ সম্পাদক  জিমের  মোবাইলে  যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের পাওয়া যায়নি ।
 ১৮ জন ছাত্র ছাত্রীর আজীবন বহিষ্কার ও বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের উপ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের একাধিক ছাত্র ছাত্রী ও কলেজের শিক্ষকরা জানান , ঐষিকা প্রথমে সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও সদ্য ক্ষমতাচ্যুত মন্ত্রী আব্দুর রহমানের ছত্র ছায়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলেজে বিভিন্ন ধরণের অপকর্ম চালিয়েছে ও ফায়দা লুটেছে ।
ফরিদপুরের সুধী মহল এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ দিলরুবা জেবা , উপ অধ্যক্ষ ডাঃ স্বপন কুমার বিশ্বাস ও তদন্ত কমিটির প্রধান ডাঃ ফারুক আহমেদ সহ একাডেমিক সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ।