ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে নাগরিক সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ 

ফরিদপুর পৌরসভার বর্ধিত সীমানায় অন্তর্ভুক্ত ৮ নং কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ পুনরায় বহালের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। বুধবার ( ২৫ শে সেপ্টেম্বর)  দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে স্থানীয় এলাকাবাসী একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে আসেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ পুনর্বহাল আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মো. ফরিদ শেখ, ইসলাম মাস্টার, মো. আইয়ুব সর্দার, মো. লুৎফর সর্দার, মো. ইসহাক মোল্লা, মো. বিল্লাল মাতুব্বর, মো. আ. ছাত্তার মাস্টার, মো. টিটু মিয়া, মো. ইউনূস মোল্লা, মো. আক্তার শেখ, আমজাদ হুসাইন, আব্দুল ওহাব মেম্বার, মো ছামাদ খান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, ফরিদপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড এলাকাটি আগে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্ধিত পৌরসভার মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটিও বর্তমান রয়েছে। আমাদের পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত করা হলেও নাগরিক সেবার উন্নয়ন হয়নি। কৃষকের উপর খাজনা, কর, পানির বিল চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। ২০ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত পৌরসভা আমাদের দুর্ভোগ আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। আমরা সাবেক কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের নাগরিক সুবিধায় ফিরে যেতে চাই। তারা বলেন,  যদি সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়নে হয় তাহলে আমাদের এত সমস্যা থাকতো না। যেহেতু সেটি বর্তমানে হচ্ছে না তাহলে আমরা পূর্বের জায়গায় ফেরত চলে যেতে চাই।
পরে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব(বর্তমানে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) রামানন্দ পালের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন তারা।
উল্লেখ্য, শতবর্ষী ফরিদপুর পৌরসভা স্থাপিত হয় ১৮৬৯ সালে। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর বর্ধিত পৌরসভার ২৭ টি ওয়ার্ড নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ফরিদপুর পৌরসভায় ৭ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ছিল। ফরিদপুর পৌরসভায় বর্ধিত এলাকার সীমানা বর্তমানে ৬৬ দশমিক ৫৪ বর্গ কিলোমিটার। ফরিদপুর সদর উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের ৩৮টি মৌজাকে ফরিদপুর পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি হয়। ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর নিকার সভায় ওই পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারণের বিষয়টি অনুমোদিত হয়। ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি শহর এলাকাকে চূড়ান্তভাবে পৌর এলাকায় অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশিত হয়।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে মীর সরফত আলী সপু’র  ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ

ফরিদপুরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে নাগরিক সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ 

আপডেট সময় ০৩:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফরিদপুর পৌরসভার বর্ধিত সীমানায় অন্তর্ভুক্ত ৮ নং কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ পুনরায় বহালের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। বুধবার ( ২৫ শে সেপ্টেম্বর)  দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে স্থানীয় এলাকাবাসী একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে আসেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ পুনর্বহাল আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মো. ফরিদ শেখ, ইসলাম মাস্টার, মো. আইয়ুব সর্দার, মো. লুৎফর সর্দার, মো. ইসহাক মোল্লা, মো. বিল্লাল মাতুব্বর, মো. আ. ছাত্তার মাস্টার, মো. টিটু মিয়া, মো. ইউনূস মোল্লা, মো. আক্তার শেখ, আমজাদ হুসাইন, আব্দুল ওহাব মেম্বার, মো ছামাদ খান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, ফরিদপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড এলাকাটি আগে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্ধিত পৌরসভার মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটিও বর্তমান রয়েছে। আমাদের পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত করা হলেও নাগরিক সেবার উন্নয়ন হয়নি। কৃষকের উপর খাজনা, কর, পানির বিল চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। ২০ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত পৌরসভা আমাদের দুর্ভোগ আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। আমরা সাবেক কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের নাগরিক সুবিধায় ফিরে যেতে চাই। তারা বলেন,  যদি সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়নে হয় তাহলে আমাদের এত সমস্যা থাকতো না। যেহেতু সেটি বর্তমানে হচ্ছে না তাহলে আমরা পূর্বের জায়গায় ফেরত চলে যেতে চাই।
পরে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব(বর্তমানে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) রামানন্দ পালের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন তারা।
উল্লেখ্য, শতবর্ষী ফরিদপুর পৌরসভা স্থাপিত হয় ১৮৬৯ সালে। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর বর্ধিত পৌরসভার ২৭ টি ওয়ার্ড নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ফরিদপুর পৌরসভায় ৭ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ছিল। ফরিদপুর পৌরসভায় বর্ধিত এলাকার সীমানা বর্তমানে ৬৬ দশমিক ৫৪ বর্গ কিলোমিটার। ফরিদপুর সদর উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের ৩৮টি মৌজাকে ফরিদপুর পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি হয়। ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর নিকার সভায় ওই পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারণের বিষয়টি অনুমোদিত হয়। ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি শহর এলাকাকে চূড়ান্তভাবে পৌর এলাকায় অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশিত হয়।