বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং লুটপাটের জন্য সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। মেঘা প্রকল্পের নামে ব্যাপক লুটপাট চালিয়ে দেশকে অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয় ক্যাডার বাহিনীতে পরিনিত করেছিলো। বিএনপিসহ সকল গণতান্ত্রিক দল এই সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছিলো। ছাত্র জনতা অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান ও শত শত শহীদের আত্ম ত্যাগের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার সরকারকে হটিয়ে দেশকে দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। দেশের মানুষ এখন স্বাধীন। তারা এখন মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারছে এবং স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর যে অন্তর্বর্তী কালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই সরকার যৌক্তিক সময়ের মধ্যে ধ্বংসপ্রাপ্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে সংস্কার করে, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। তিনি আরও বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাবরে স্মরণ করবে।
তিনি আজ রবিবার দুপুরে স্থানীয় অডিটোরিয়ামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-গণ অভ্যুথানে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ৪ শহীদসহ সকল শহীদদের স্মরণে উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল আলম ভূইয়ার সভাপতিত্বে পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ আতাউর রহমান ফরিদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইমাম হাসান আবু চাঁন চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল আওয়াল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুর্গাপুর উপজেলার নেতা রাতুল খান রুদ্র, রাসেল মিয়া, রেদোয়ান আহমেদ, তাজনীন জাহান পুন্য ও শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
পরে দূর্গাপুরের ৪জন শহীদ মাসুম বিল্লাহ, ওমর ফারুক, জাকির হোসেন ও সাইফুল ইসলামসহ ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে ১মিনিট নীরবতা ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে ৪ শহীদের পরিবারবর্গকে ব্যারস্টার কায়সার কামাল তার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।