মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান-শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ও ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার-বিলাশপুর ইউনিয়নের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের পক্ষ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত হুর, কোয়ালিটি ও ভি ওয়াটার সহায়তায় উপজেলা ঘরে ঘুরে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
তিনটি উপজেলার দুই সহস্রাধিক মানুষের মাঝে শাড়ি, শার্ট, প্যান্ট, চাল, ডাল, আটা, ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, দুধ, চা পাতাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সম্বলিত ত্রাণসামগ্রী প্যাকেট বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ সামগ্রমী বিতরণকালে মাসুদ করিম পাপ্পুর সার্বিক তত্তাবধানে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক যুগান্তর প্রকাশক ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ।
আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিস্ট সমাজসেবক কামাল হোসেন লাল, রশুনিয়া ইউপি সদস্য জয়ন্ত ঘোষ,শেখ মোঃ রাসেল,হুমায়ুন কবিরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, দেশ গড়ার কাজে তিনি দূরদর্শী এবং বুদ্ধিদীপ্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি চিন্তা করেছিলেন দেশকে যদি গড়তে হয়, তাহলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। তিনি সেই কাজটি করে দেখিয়েছেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানে তার অসামান্য অবদানের বিষয়টি জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণে রাখবেন। নুরুল ইসলাম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আদর্শ দেশপ্রেমিক। দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে বেকার সমস্যা দূরীকরণে ৪৩টি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশকে ভালোবেসে বিদেশের মাটিতে বাড়ি-গাড়ি, কলকারখানা স্থাপনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি তা করেননি। এত শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েও তিনি কখনও ঋণখেলাপি ছিলেন না। তিনি মানুষের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগে উন্নত এবং বেকারত্ব মোচনে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে শিল্পকারখানা স্থাপনের নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
ত্রাণ বিতরণকালে তারা বলেন, সিরাজদিখান ও শ্রীনগরের উপজেলার মানুষের আবেগের নাম যমুনা গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। তিনি আমৃত্যু এ এলাকার মানুষের ভাগ্যন্নয়নে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন স্বপ্নদ্রষ্টা কর্মবীর মানুষ। আমরা তাকে নিয়ে গর্ব করি।
গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আরও বলেন, তিনি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে একের পর এক শিল্পকারখানা গড়েছেন। বেকারত্ব দূর করে অর্থনীতির চাকা চাঙা করার জন্য তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করে গেছেন। শুধু তাই নয়, নুরুল ইসলাম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আদর্শ দেশপ্রেমিক । আজকের এই দিনে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, শিক্ষা, শান্তি, সেবা ও সামাজিক উন্নয়নই নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য। পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও পরোপকারের মাধ্যমে বিশ্বমানবতার কল্যাণই আমাদের একমাত্র ব্রত। আর্তমানবতার সেবা, সমাজ সংস্কার, কর্মসংস্থান তৈরি, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, এতিম, গরিব, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভরণপোষণ, ছিন্নমূল ও পথবাসীদের পুনর্বাসন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ সব শ্রেণির নাগরিকের নৈতিক ও চারিত্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি আমরা। তারা আরও জানান, নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণের এ কার্যক্রম দেশব্যাপী চলমান থাকবে।