ঢাকা ০২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিকরগাছায় পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশুকে হত্যা করে বাবার আত্মহত্যা

পারিবারিক কলহের জের ধরে যশোরে ১১ মাসের শিশু পুত্র আয়মান হোসেনকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে বাবা ইমামুল হোসেন (২৮) আত্মহত্যা করেছে।নিহত ইমামুল জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার শরীফপুর গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে।
রোববার (১১ই আগস্ট)  দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার শরিফপুর গ্রামের এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ইমামুল দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকতেন। তার স্ত্রী মমতাজ বেগম (২৩) কে তার পিতার বাড়িতে যেতে দিতেন না। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী মমতাজ ও ইমামুলের মধ্যে বাকবিতন্ত হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী জোর করেই মমতাজ এগারো মাসের শিশু সন্তান আইমানকে তার বাবা ইমামুলের কাছে রেখে বাবার বাড়ি হাড়িয়া দিয়া গ্রামে চলে যান। শিশু বাচ্চাটি দুধের জন্য কান্দাকাটি শুরু করে। সে কান্না থামাতে না পেরে বাচ্চাটিকে গলাটিপে হত্যা করেন। এরপর বাবা ইমামুল রাতের কোন এক সময়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ইমামুলের মা রহিমা বেগম বলেন, গতকালকে আমার বৌ-মা মমতাজ বেগম আর ছেলে ইমামুল দু’জনে বৌ-মার বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে গন্ডগোল করে। একপর্যায়ে ছোট্ট শিশুটিকে ফেলে রেখে সে বাবার বাড়িতে চলে যায়। দিনের বেলায় আমি বাচ্চাটাকে খাওয়া দাওয়া করিয়ে কোন রকম রেখেছিলাম। কিন্তু ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে আমার ছেলে এনামুল ঘুমায়। সকালে উঠে দেখি আমার ছেলের মৃত্যু দেহটি রশিতে ঝুলছে। পাশে বিছানায় আমার ছোট্ট আয়মানের মৃত্যু দেহ পড়ে রয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে ইমামুল আত্মহত্যা করেছে। ইমামুলের ঘরে তার ছোট্ট শিশু সন্তান আয়মান কেউ মৃত অবস্থায় পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশু সন্তানকে রেখে তার মা মমতাজ বেগম বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ায় সে বাচ্চাটিকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছে। অন্য কোন কারণ আছে কিনা এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চালান হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুকুটিয়ায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-৫

ঝিকরগাছায় পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশুকে হত্যা করে বাবার আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০৫:০১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
পারিবারিক কলহের জের ধরে যশোরে ১১ মাসের শিশু পুত্র আয়মান হোসেনকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে বাবা ইমামুল হোসেন (২৮) আত্মহত্যা করেছে।নিহত ইমামুল জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার শরীফপুর গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে।
রোববার (১১ই আগস্ট)  দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার শরিফপুর গ্রামের এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ইমামুল দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকতেন। তার স্ত্রী মমতাজ বেগম (২৩) কে তার পিতার বাড়িতে যেতে দিতেন না। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী মমতাজ ও ইমামুলের মধ্যে বাকবিতন্ত হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী জোর করেই মমতাজ এগারো মাসের শিশু সন্তান আইমানকে তার বাবা ইমামুলের কাছে রেখে বাবার বাড়ি হাড়িয়া দিয়া গ্রামে চলে যান। শিশু বাচ্চাটি দুধের জন্য কান্দাকাটি শুরু করে। সে কান্না থামাতে না পেরে বাচ্চাটিকে গলাটিপে হত্যা করেন। এরপর বাবা ইমামুল রাতের কোন এক সময়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ইমামুলের মা রহিমা বেগম বলেন, গতকালকে আমার বৌ-মা মমতাজ বেগম আর ছেলে ইমামুল দু’জনে বৌ-মার বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে গন্ডগোল করে। একপর্যায়ে ছোট্ট শিশুটিকে ফেলে রেখে সে বাবার বাড়িতে চলে যায়। দিনের বেলায় আমি বাচ্চাটাকে খাওয়া দাওয়া করিয়ে কোন রকম রেখেছিলাম। কিন্তু ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে আমার ছেলে এনামুল ঘুমায়। সকালে উঠে দেখি আমার ছেলের মৃত্যু দেহটি রশিতে ঝুলছে। পাশে বিছানায় আমার ছোট্ট আয়মানের মৃত্যু দেহ পড়ে রয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে ইমামুল আত্মহত্যা করেছে। ইমামুলের ঘরে তার ছোট্ট শিশু সন্তান আয়মান কেউ মৃত অবস্থায় পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশু সন্তানকে রেখে তার মা মমতাজ বেগম বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ায় সে বাচ্চাটিকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছে। অন্য কোন কারণ আছে কিনা এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চালান হচ্ছে বলে তিনি জানান।