ঢাকা ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, মন্দির ভাংচুর, হত্যা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন 

দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক দিনে  ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা,হত্যা, মন্দির ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফরিদপুরের সম্মিলিত হিন্দু সমাজের উদ্যোগে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 শনিবার ( ১০ আগষ্ট)  বিকেলে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে ফরিদপুরের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সভা ও  বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় ।
 প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে  বক্তব্য রাখেন ‌ শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক ডক্টর নির্মল বন্ধু ব্রহ্মচারী, ননীগোপাল রায় , ডাক্তার প্রকাশ স্বরূপ অপু, অজয় কুমার রায়, রাম দত্ত , শ্যামল কর্মকার, শিপ্রা গোস্বামী , সিতাংশু মিত্র কিংকর , সুকেশ সাহা প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান এবং  তারা সংখ্যালঘুদের রক্ষায় ৯ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো-  গত কয়েকদিনে দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের ওপর ভাঙচুর, লুটপাট নির্যাতনের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তপূর্বক দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা এবং নিরীহ সংখ্যালঘু ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, সীমান্ত সংলগ্ন যেসব অঞ্চলের মানুষের ঘরবাড়ি ছেড়ে সীমান্তে চলে যাওযার তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাদের উপযুক্ত নিরাপত্তা ও সম্মানের সহিত নিজ ঘরে ফিরিয়ে আনা। প্রয়োজনবোধে সরকারি উদ্যোগে তাদের গৃহ নির্মাণ ও পূনর্বাসন করা,  হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে পূর্ণাঙ্গ রূপে হিন্দু ফাউন্ডেশন হিসেবে নিবন্ধন এবং তার সামগ্রিক কর্মপরিসর ও অর্থবরাদ্দ বৃদ্ধি করে কোনো প্রকার দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ব্যক্তি ব্যতীত নিরপেক্ষ ও সনাতনীদের প্রকৃত শুভচিন্তক ব্যক্তিদের দ্বারা পুনর্গঠন,
 সরকারের সকল পর্যায়ে সংখ্যালঘুদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা,
 বিদ্যমান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ন্যায় পৃথক, স্বতন্ত্র “জাতীয় সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন” গঠন যা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নির্যাতনের ঘটনাগুলো নথিবদ্ধ করে আইনি প্রক্রিয়ায় সহায়তাপূর্বক ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সাহায্য করবে,  সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান এবং আক্রমণের ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন। পরিস্থিতি পূর্ণরূপে স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে এই ব্যাপারে দায়িত্ব প্রদান,  বিশেষ “সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বিশেষ গুরুত্বের সাথে সংখ্যালঘুদের মন্দির, ঘরবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাটের দ্রুততম সময়ে বিচার ও দৃষ্টান্তমুলক শান্তি গ্রহণ করা, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসব নির্বিঘ্নে যথাবিধি পালন হওয়ার ব্যাপারে উপযুক্ত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান এবং
 পূর্ববর্তী সরকারের আমলসহ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, নির্ধাতন, ধর্ষণ, অগ্নিযোংগের বিচার।
উল্লেখ্য, এর আগে একাধিক স্থান থেকে বিভিন্ন মিছিল ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এসে উপস্থিত হয়। এটি শহর প্রদক্ষিণ  শেষে গোয়ালচামটের শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে আগামীকাল রবিবার ( ১১ ই আগষ্ট)  বিকেল তিনটায় একই দাবিতে মানববন্ধন ও  বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে বলে  সংগঠকেরা নিশ্চিত করেন।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কেরানীগঞ্জে স্টার বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে খাবার

ফরিদপুরে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, মন্দির ভাংচুর, হত্যা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন 

আপডেট সময় ০১:১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪
দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক দিনে  ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা,হত্যা, মন্দির ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফরিদপুরের সম্মিলিত হিন্দু সমাজের উদ্যোগে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 শনিবার ( ১০ আগষ্ট)  বিকেলে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে ফরিদপুরের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সভা ও  বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় ।
 প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে  বক্তব্য রাখেন ‌ শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক ডক্টর নির্মল বন্ধু ব্রহ্মচারী, ননীগোপাল রায় , ডাক্তার প্রকাশ স্বরূপ অপু, অজয় কুমার রায়, রাম দত্ত , শ্যামল কর্মকার, শিপ্রা গোস্বামী , সিতাংশু মিত্র কিংকর , সুকেশ সাহা প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান এবং  তারা সংখ্যালঘুদের রক্ষায় ৯ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো-  গত কয়েকদিনে দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের ওপর ভাঙচুর, লুটপাট নির্যাতনের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তপূর্বক দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা এবং নিরীহ সংখ্যালঘু ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, সীমান্ত সংলগ্ন যেসব অঞ্চলের মানুষের ঘরবাড়ি ছেড়ে সীমান্তে চলে যাওযার তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাদের উপযুক্ত নিরাপত্তা ও সম্মানের সহিত নিজ ঘরে ফিরিয়ে আনা। প্রয়োজনবোধে সরকারি উদ্যোগে তাদের গৃহ নির্মাণ ও পূনর্বাসন করা,  হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে পূর্ণাঙ্গ রূপে হিন্দু ফাউন্ডেশন হিসেবে নিবন্ধন এবং তার সামগ্রিক কর্মপরিসর ও অর্থবরাদ্দ বৃদ্ধি করে কোনো প্রকার দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ব্যক্তি ব্যতীত নিরপেক্ষ ও সনাতনীদের প্রকৃত শুভচিন্তক ব্যক্তিদের দ্বারা পুনর্গঠন,
 সরকারের সকল পর্যায়ে সংখ্যালঘুদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা,
 বিদ্যমান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ন্যায় পৃথক, স্বতন্ত্র “জাতীয় সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন” গঠন যা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নির্যাতনের ঘটনাগুলো নথিবদ্ধ করে আইনি প্রক্রিয়ায় সহায়তাপূর্বক ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সাহায্য করবে,  সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান এবং আক্রমণের ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন। পরিস্থিতি পূর্ণরূপে স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে এই ব্যাপারে দায়িত্ব প্রদান,  বিশেষ “সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বিশেষ গুরুত্বের সাথে সংখ্যালঘুদের মন্দির, ঘরবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাটের দ্রুততম সময়ে বিচার ও দৃষ্টান্তমুলক শান্তি গ্রহণ করা, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসব নির্বিঘ্নে যথাবিধি পালন হওয়ার ব্যাপারে উপযুক্ত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান এবং
 পূর্ববর্তী সরকারের আমলসহ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, নির্ধাতন, ধর্ষণ, অগ্নিযোংগের বিচার।
উল্লেখ্য, এর আগে একাধিক স্থান থেকে বিভিন্ন মিছিল ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এসে উপস্থিত হয়। এটি শহর প্রদক্ষিণ  শেষে গোয়ালচামটের শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে আগামীকাল রবিবার ( ১১ ই আগষ্ট)  বিকেল তিনটায় একই দাবিতে মানববন্ধন ও  বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে বলে  সংগঠকেরা নিশ্চিত করেন।