বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক প্রীতম সোহাগকে তার নিজ জেলা নেত্রকোণায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
এতে শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষসহ বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল-মামুন খান রনি’র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রীতম সোহাগ নেত্রকোণা শহরের চকপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। দেশব্যাপী হওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
শুক্রবার বিকেলে নেত্রকোণা সদরের চল্লিশা এলাকায় পৌঁছান প্রীতম সোহাগ। এর আগে থেকেই সেখানে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা সেখানে গাড়ি ও মোটরসাইকেল বহর নিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে গাড়িতে করে শহর প্রদক্ষিণ করে। এসময় সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি সোহাগকে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যায়। শেষে চকপাড়া এলাকায় আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা দেওয়া হয় সোহাগকে।
সমন্বয়ক প্রীতম সোহাগ বলেন, বর্তমানে যে অগ্নি সন্ত্রাস হচ্ছে তা কোন রাজনৈতিক দলই তা সমর্থন করছেন না। সবাই এর বিরুদ্ধে। যারা এসব করছে তারা হয়তো বা সেই পরাজিত শক্তি। এর রুখে দিতে হবে। আমরা সাধারন শিক্ষার্থী, আমাদের পরকল্পনা হচ্ছে দ্রুতই আমরা পড়াশোনায় ফেরত যাব। তবে যেখানেই অন্যায় হবে সেখানেই ঝাপিয়ে পড়ব।
তিনি আরও বলেন, আমরা কোটা সংস্কারে নেমেছিলাম মানুষ চেয়েছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার, করে ফেলেছি। ফ্যাসিষ্ট সৈরাচারকে বিদায় করে দিয়েছি। কোন রাজনৈতিক দলের যেখানে কোন পাত্তা ছিল না সেখানে আমরা করে দেখিয়েছি। রাষ্ট্রের সবগুলো সব প্রতিষ্ঠান সংস্কারে যতদিন সময় লাগে ততদিন এই সরকার থাকবে। এই সরকার ছাত্র জনতার সরকার। প্রবাসী ভায়েরা আমাদের আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে রেমিটেন্স পাঠানো বন্ধ রেখেছিলেন। আমরা তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই।
সমন্বয়ক সোহাগ আরও বলেন, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রাজনীতি মুক্ত করা হবে। আন্দোলনের শেষের দিকে ভারতীয় চক্রান্তে নেত্রকোণার মন্দিরগুলো কুচক্রিমহল হামলা চালানো শুরু করেছিল তখন যুবদল নেতা রনি খান তার লোকজন নিয়ে মন্দিরগুলো রক্ষা করেন। সেজন্য রনি খানকেও ধন্যবাদ জানান এই সমন্বয়ক।
এসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ সহ সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। সেই সাথে আন্দোলনের সময় যারা শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।