আওয়ামী লীগের নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার তার ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরে আনন্দ মিছিল করতে গিয়ে পুলিশ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়লে পুলিশের গুলি খেয়ে নিহত হন ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২ নং বালিথুবা ইউনিয়নের শাহাদাত ও আঃ কাদির নামের বিএনপি ২ কর্মী।
জানাজায় কোটা বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি সহ অন্যান্য সমমনা দলগুলো আনন্দ মিছিল বের করে। অনুরূপ ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও বিএনপির অন্যান্য সহযোগী সংগঠন গুলো আনন্দ মিছিল বের করে। আনন্দ মিছিলটি ফরিদগঞ্জ থানার সামনে গেলে পুলিশ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এ সময় পুলিশের গুলি খেয়ে মিছিলে থাকা শাহাদাত নামের বিএনপির এক কর্মী নিহত হন। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলা বালিথুবা ইউনিয়নের বালিথুবা গ্রামের বেপারি বাড়ি। শাহাদাত সিরতাজ বেগম নামের এক মহিলার একমাত্র সন্তান ছিলেন। শাহাদাত ফরিদগঞ্জ বাজারে একটি দোকানের কর্মচারী হয়ে কাজ করতেন।
অন্যদিকে একইভাবে আনন্দ মিছিল করতে গেলে ঢাকার উত্তরা এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ সৃষ্টি হলে মারা যান একই ইউনিয়নের মানিক রাজ গ্রামের আঃ কাদির। তার মৃত্যুর কারণে এতিম হয়ে পড়েছে তার ছোট্ট ছোট্ট তিনটি শিশু সন্তান। আব্দুল কাদির উত্তরায় একটি রড সিমেন্টের দোকানে কাজ করতেন।
দুজনের লাশ বাড়িতে আনলে শাহাদাতের জানাজার নামাজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় বালিথুবা অদুদিয়া মাদ্রাসার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এবং আঃ কাদিরের জানাজার নামাজ হয় সকাল ১২ টায় মানিকরাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।
এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ভিপি মুজিবুর রহমান দুলাল, সাবেক মেয়র মঞ্জিল হোসেন, নজরুল ইসলাম নজু পাটোয়ারী, ডাক্তার ওমর ফারুক, মোঃ ইব্রাহিম, আলী হারেস নিয়াজী, উপস্থিত ছিলেন শাহ মুহাম্মদ ইকবাল লিটন, বাহাউদ্দিন মাস্টার, মহরম জিয়া, যুবদলের নেতা গিয়াস উদ্দিন, নাজমুল কবির খান, মামুন কাজী, মোঃ ইব্রাহিম তালুকদার, খান মোহাম্মদ সোহেল সহ উপজেলা বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদল সহ সহস্রাদিক নেতা কর্মী জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।