ফরিদপুরে হামলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী পাঁচ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছে- গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক বিভাগের সাবেক ছাত্র ও শহরের ঝিলটুলী এলাকার বিল্লাল কাজীর পুত্র কাজী নিশাত আহমেদ (২৫) ও সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যায়ণরত আবরার নাদিম ইতু (২৬) কে ফরিদপুর জেলার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা আন্দোলনকারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে শহরের ব্রাহ্মসমাজ সড়কের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। সেখানে তারা সড়কে বসে নানা শ্লোগানে মুখরিত করে তোলেন। এক পর্যায়ে আধাঘন্টা পরে সেখানে অর্ধশত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ছুটে আসে। এ সময় লাঠিসোটা ও হকিস্টিক দিয়ে ২০-২৫ জন ব্যক্তি আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায়। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা।
নাদিম ইতু জানান, আমাদের কর্মসূচি শুরু হতে না হতে হতেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে অতর্কিতভাবে হামলা করে। আমার সহকর্মীরা পরে গেলে তাদের উঠাতে যাই। এ সময় আমার পরিচিত মুখই হামলা চালায়। আমাদের প্রত্যেকের মাথায় আঘাত করেছে তারা। আমাদের দেখে নেয়ারও হুমকি দিয়ে গেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ওসি হাসানুজ্জামান বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।