মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
বুধবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের পূর্ব চান্দেরচর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষের ৯ জন টেটাবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বালুচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলেক চান সজীব আহত হন। এসময় চারটি বাড়িঘর ভাঙচুর হয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সকাল ৬টার দিকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে সকাল ৯ টা পর্যন্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গিয়ে ২৫ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। বর্তমানে ঘটনস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে দৈনিক মানবকন্ঠের সিরাজদীখান প্রতিনিধি সাংবাদিক সালাহউদ্দিন সালমান সংঘর্ষের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সিরাজদীখান থানার পুলিশের অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পুর্ব চান্দেরচর গ্রামের কামিজুদ্দিন কামু (৬০) ও একই এলাকার কালাইচান মাদব্বরের (৫৫) সর্মথকদের মধ্যে ফসলি জমির মাটিকাটার টাকার ভাগবাটোয়ারা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সকাল ছয়টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর আগে গত ২১ জুন উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল, ওই সংঘর্ষে ৪ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হন।
বালুচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলেকচান সজীব সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন, বর্তমান সে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি আছে, বেশ কয়েকজন টেঁঁটাবিদ্ধ হয়েছেন বলে আমি শুনেছি।
সিরাজদীখান থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’ সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।’