ভয়-বিতী ও দখল চেষ্টা থেকে বাঁচতে চায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের মোল্লাবাড়ির মোঃ ফজলুল করিম পরিবার। অন্যদিকে অভিযুক্ত নেচার আহমেদ মোল্লার সাথে কথা তিনি বলেন এর সব কিছুই মিথ্যা।এবং উল্লেখিত যে সম্পত্তির কথা বলা হয়েছে তা অনেক আগেই আমি ক্রয় করেছি।
বিষয়টির সত্যতা জানতে এবং অভিযোগের আলোকে দায়চারা মোল্লা বাড়িতে গেলে অভিযোগকারী মোঃ ফজলুল করিম বলেন, তিনি একই বাড়ির ওয়াহেদ আলীর পুত্র অলীমুদ্দিন ও খলিলুর রহমানের দুই পুত্র আব্দুর রব মোল্লা ও মনোহর মোল্লা এবং ভেলুয়া সুন্দরী থেকে মালিকীয় ও দখলীয় সম্পত্তি হইতে ৭৫৮ দাগে এক শতাংশ সম্পত্তি সাফকবলা দলিল মুলে ক্রয় করেন। যার দলিল নং ৮৪৯৪/ ২৪-০৮-৮৭। এছাড়া আব্দুল মতিন মোল্লা ও আবুল হোসেন মোল্লাদের মালিকীয় ও দখলীয় সম্পত্তি হইতে ক্রয় করেন ১ শতাংশ। যার সাপ কবলা দলিল নং ৮৫৬২/২৭-০৮-৮৭। এবং তিনি এই সম্পত্তি দীর্ঘদিন বোঘ-দখল করে আসছেন। এছাড়া বাড়ির এজমালি একটি পুকুর ইজারা দিতে গেলে সেই পুকুরটি তিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারা পায়। এবং চুক্তি মোতাবেক তিনি সেই পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। এবং শান্তিপূর্ণভাবে বাড়িতে বসবাস করে আসছিলো। কিন্তু একই বাড়ির নেছার আহমেদ মোল্লা ও তার ছেলে মোঃ রবিউল হোসেন সহ তাদের পরিবারের অন্যান্যরা চায়না ফজলুল করিমের পরিবার বাড়িতে শান্তিতে বসবাস করুক। তাই তারা ফজলুল করিমের উপরে উল্লেখিত ২ শতাংশ সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। এবং ইতিপূর্বে অনেকবার তাকে মারার চেষ্টাও করেছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, তার ইজারা কৃত পুকুরে মাছ চাষ করতে তারা বাধা প্রদান করে আসছে। এবং বর্তমানে পুকুরে মাছ চাষে দেখবাল করতেও বাধা প্রদান করে আসছে। এবং তাকে হুমকি দিয়ে বলে যদি পুকুরে মাছ চাষ করছ বা পুকুরে নামোছ তাহলে বিষ প্রয়োগ করে মাছের ক্ষতি করে ফেলবে। তিনি আরো বলেন, তার পৈতৃক সূত্রের ৯৪০ দাগের একটি সম্পত্তির উপর দিয়ে নেছার আহমেদ ও তার ছেলে রবিউল জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেখানে বাধা দিতে গেলেও ফজলুল করিমকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।
বিষয়টি নিয়ে একই বাড়ির সিরাজুল হক মোল্লা, আব্দুল কাদির মোল্লা, আলমগীর হোসেন, হুমায়ুন কবির সহ আরও কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, হাফেজ মোঃ ফজলুল করিম যা বলেছেন তা সবই সত্য। এলাকায় শান্তি রক্ষার্থে আমরা এর একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই।
অন্যদিকে অভিযুক্ত মোঃ নেছার আহমেদ মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উপরে উল্লেখিত সম্পত্তি আমাদের ক্রয়-কৃত সম্পত্তি। এবং ফজলুল করিমের অনেক আগেই আমরা এই সম্পত্তি ক্রয় করি। ফজলুল করিম যাদের থেকে এই সম্পত্তি ক্রয় করেছে তারা এই সম্পত্তির মালিক না বলে তিনি জানান। কিন্তু এ সময় নেছার আহমেদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির কোন দলিল দেখাতে পারেন নি। এবং ফজলুল করিমকে হুমকি ধমকির বিষয়গুলো তিনি অস্বীকার করেন।
বিষয়টি নিয়ে ফজলুল করিম ফরিদগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি ও আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ফরিদগঞ্জ থানায় জিডি নং ৮৫৭। তিনি প্রশাসনিকভাবে এর সুষ্ঠু সমাধান দাবি করছে।