শরীয়তপুরের নড়িয়ায় রাসেলস ভাইপার সাপকে লাথি মারতে গিয়ে দংশনের শিকার হয়েছেন ইব্রাহিম (৪০) নামের এক যুবক। তিনি বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কনক জ্যৌতি মন্ডল।
ইব্রাহিম চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট থানার মো. মুকলেসের ছেলে। তিনি পেশায় মাহিন্দ্রাচালক।
ভুক্তভোগী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ইব্রাহিম নামের ওই যুবক চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় কাজের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন। সোমবার (২৪ জুন) রাতে মালিকের বাসায় খাবার খাওয়ার পর বিদ্যুৎ চলে গেলে নড়িয়া ব্রিজ এলাকায় নদীর পাড়ে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। এসময় তিনি একটি সাপ দেখলে চিৎকার করে লোকজন জড়ো করেন। পরে সাপটিকে তিনি পা দিয়ে মারতে গেলে তার পায়ে কামড় বসিয়ে দেয় সাপটি। এসময় তিনি পাশে থাকা একটি ইট দিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন এবং পা বেঁধে দ্রুত মোটরসাইকেলে জেলা সদর হাসপাতালে চলে আসেন। হাসপাতালের চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার শরীরে বিষ প্রবেশ করেনি বলে জানান। তবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
কামড় খাওয়া যুবক ইব্রাহিম বলেন, সাপটি রাসেলস ভাইপারের বাচ্চা ছিল। তাই পা দিয়ে সাপটি মারতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটি হঠাৎ করেই আমার পায়ে কামড় বসিয়ে দেয়। পরে আমি গেঞ্জি খুলে ক্ষত জায়গাটি বেঁধে হাসপাতালে ছুটে আসি। চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা করে বলেন, আমার শরীরে বিষ প্রবেশ করতে পারেনি।’
নাসির নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, উনি সাপটি দেখে চিৎকার দেন। পরে নিজেই পা দিয়ে মারতে গেলে উল্টে এসে তার পায়ে কামড় বসিয়ে দেয়। পরে আমরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কনক জ্যৌতি মন্ডল বলেন, সাপে কাটার আধাঘণ্টার মধ্যে ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে মোবাইলে একটি ছবি দেখালে বুঝতে পারি সাপটি রাসেলস ভাইপার ছিল। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার রক্তে কোনো বিষ পাইনি। তাকে আপাতত অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।’