ঢাকা ১২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোণায় বন্যার শঙ্কা, নদ-নদীর পানি অতিক্রম করেছে বিপৎসীমা  

নেত্রকোণায় বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্রধান ৪টি নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এরমধ্যে কলমাকান্দার উপদাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। এতে করে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলার কলমাকান্দা উপজেলার উপদাখালী নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে আজ সকাল ৯টায় উপদাখালী নদীর একইস্থানে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
তবে লোকালয়ে এখনও পানি না ঢুকলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যার শঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী  মো. সারওয়ার জাহান জানান, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে  জেলার প্রধান চার নদী উপদাখালী, কংশ, সোমেশ্বরী ও ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।  তবে উপদাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ২৭ সেন্টিমটার উপর দিয়ে বইছে। কংশ নদের পানিও জারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি মাত্র ২০ সেন্টিমিটার নীচ  দিয়ে বইছে। এ ছাড়া জেলার হাওরাঞ্চলের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধনু নদের পানি খালিয়াজুরী পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে ও  পাহাড়ি নদী সোমেম্বরীর পানি বেড়ে দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে এবং বিজয়পুর পয়েন্টে ৪ দশমিক ৪ মিটার নীচ দিয়ে বইছে।
জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেছেন, এখনও পর্যন্ত বাড়ি-ঘরে পানি ঢোকেনি। তেমনভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর নেই। তবে বন্যা হওয়ার আশংকায় তা মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি  জানানো হয়েছে। কলমাকান্দা উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলিফ পরিবহন খাদে : আহত-৩০

নেত্রকোণায় বন্যার শঙ্কা, নদ-নদীর পানি অতিক্রম করেছে বিপৎসীমা  

আপডেট সময় ১২:৩৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
নেত্রকোণায় বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্রধান ৪টি নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এরমধ্যে কলমাকান্দার উপদাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। এতে করে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলার কলমাকান্দা উপজেলার উপদাখালী নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে আজ সকাল ৯টায় উপদাখালী নদীর একইস্থানে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
তবে লোকালয়ে এখনও পানি না ঢুকলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যার শঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী  মো. সারওয়ার জাহান জানান, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে  জেলার প্রধান চার নদী উপদাখালী, কংশ, সোমেশ্বরী ও ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।  তবে উপদাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ২৭ সেন্টিমটার উপর দিয়ে বইছে। কংশ নদের পানিও জারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি মাত্র ২০ সেন্টিমিটার নীচ  দিয়ে বইছে। এ ছাড়া জেলার হাওরাঞ্চলের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধনু নদের পানি খালিয়াজুরী পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে ও  পাহাড়ি নদী সোমেম্বরীর পানি বেড়ে দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে এবং বিজয়পুর পয়েন্টে ৪ দশমিক ৪ মিটার নীচ দিয়ে বইছে।
জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেছেন, এখনও পর্যন্ত বাড়ি-ঘরে পানি ঢোকেনি। তেমনভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর নেই। তবে বন্যা হওয়ার আশংকায় তা মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি  জানানো হয়েছে। কলমাকান্দা উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।