ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাঙ্গায় প্রবাসীর জমি দখলের অভিযোগ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে  গভীর রাতে সৌদি প্রবাসীর  ২২ শতাংশ ফসলি জমি দখল ও ঔষধ দিয়ে ফসল নষ্ট করার অভিযোগ  উঠেছে।
 সম্প্রতি  উপজেলার কাওলীবেড়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তাপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী পলাশ মাতুব্বর ও আদম আলীর  জমি একই গ্রামের মিরাজ মাতুব্বর ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে  এ অভিযোগ উঠে।  বৃহস্পতিবার ( ১৩ ই জুন)  দুপুরে পলাশ মাতুব্বর ভাঙ্গা প্রেসক্লাবে  এবং ভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে সৌদি প্রবাসী আদম আলী অভিযোগ করে  জানান, আমাদের বাড়ির সাথে ১০০ নং নিশ্চিন্তাপুর মৌজার, ১৯২  খতিয়ানে, বি,এস ৯১৫ নম্বর দাগে ২২ শতাংশ জমি বহুবছর যাবৎ ভোগদখল  করে আসছি। এই জমি আমার দাদা মুনসুর আলী মাতুব্বর প্রায় ৮৫ বছর আগে আর এস রেকর্ড মুলে ২২ শতাংশ জমির মালিক হন ।  ওয়ারিশমূলে এস,এ এবং বি,এস আমার বাবা খবির মাতব্বর রেকর্ড মূলে মালিক হয়। বাপ-দাদা থেকে এই সম্পত্তির মালিক এখন আমরা ৫ ভাই ।  প্রায় শতবছর ধরে এই সম্পত্তি আমরা চাষাবাদ করে আসছি। আমরা সবাই প্রবাসে বসবাস করি। আমাদের কাগজপত্র সব ঠিক থাকার পরও গ্রামের লাঠিয়াল বাহিনীরা রাতের আঁধারে আমাদের জমি দখল এবং ক্ষেতের ফসল ঔষধ দিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে ।
প্রবাসী পলাশ মাতুব্বরের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, এই সম্পত্তি ক্রয় সুত্রে আমার দাদা পরে আমার বাবা তারপর আমরা জমি ভোগ দখল করে আসছি।  ৮০/৮৫ বছর পর এলাকার লাঠিয়াল বাহিনী মিরাজ মাতুব্বর ও তার লোকজন ২২ শতাংশ জায়গা জোর পূর্বক রাতের আঁধারে দখল করে ছাপড়া উঠায় ।
এ সম্পত্তি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে শালিস বৈঠক হলেও   মিরাজ ও তার লোকজন শালিস মানছেনা। তাই আমি আইনের সাহায্য এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাচ্ছি।
এ বিষয়ে মিরাজ মাতুব্বর জানান, আমরা ৩০-৪০ বছর ধরে ঢাকায় কাজ কর্ম করি। পলাশ মাতুব্বরেরা জমি খাইতেছিল কিন্তু  আমার কাগজ পত্র আছে। তাই আমি দখল করেছি।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের  ভাঙ্গা থানার এস,আই শওকত হোসেন জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সখিপুরে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু

ভাঙ্গায় প্রবাসীর জমি দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় ১১:৫০:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে  গভীর রাতে সৌদি প্রবাসীর  ২২ শতাংশ ফসলি জমি দখল ও ঔষধ দিয়ে ফসল নষ্ট করার অভিযোগ  উঠেছে।
 সম্প্রতি  উপজেলার কাওলীবেড়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তাপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী পলাশ মাতুব্বর ও আদম আলীর  জমি একই গ্রামের মিরাজ মাতুব্বর ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে  এ অভিযোগ উঠে।  বৃহস্পতিবার ( ১৩ ই জুন)  দুপুরে পলাশ মাতুব্বর ভাঙ্গা প্রেসক্লাবে  এবং ভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে সৌদি প্রবাসী আদম আলী অভিযোগ করে  জানান, আমাদের বাড়ির সাথে ১০০ নং নিশ্চিন্তাপুর মৌজার, ১৯২  খতিয়ানে, বি,এস ৯১৫ নম্বর দাগে ২২ শতাংশ জমি বহুবছর যাবৎ ভোগদখল  করে আসছি। এই জমি আমার দাদা মুনসুর আলী মাতুব্বর প্রায় ৮৫ বছর আগে আর এস রেকর্ড মুলে ২২ শতাংশ জমির মালিক হন ।  ওয়ারিশমূলে এস,এ এবং বি,এস আমার বাবা খবির মাতব্বর রেকর্ড মূলে মালিক হয়। বাপ-দাদা থেকে এই সম্পত্তির মালিক এখন আমরা ৫ ভাই ।  প্রায় শতবছর ধরে এই সম্পত্তি আমরা চাষাবাদ করে আসছি। আমরা সবাই প্রবাসে বসবাস করি। আমাদের কাগজপত্র সব ঠিক থাকার পরও গ্রামের লাঠিয়াল বাহিনীরা রাতের আঁধারে আমাদের জমি দখল এবং ক্ষেতের ফসল ঔষধ দিয়ে নষ্ট করে ফেলেছে ।
প্রবাসী পলাশ মাতুব্বরের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, এই সম্পত্তি ক্রয় সুত্রে আমার দাদা পরে আমার বাবা তারপর আমরা জমি ভোগ দখল করে আসছি।  ৮০/৮৫ বছর পর এলাকার লাঠিয়াল বাহিনী মিরাজ মাতুব্বর ও তার লোকজন ২২ শতাংশ জায়গা জোর পূর্বক রাতের আঁধারে দখল করে ছাপড়া উঠায় ।
এ সম্পত্তি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে শালিস বৈঠক হলেও   মিরাজ ও তার লোকজন শালিস মানছেনা। তাই আমি আইনের সাহায্য এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাচ্ছি।
এ বিষয়ে মিরাজ মাতুব্বর জানান, আমরা ৩০-৪০ বছর ধরে ঢাকায় কাজ কর্ম করি। পলাশ মাতুব্বরেরা জমি খাইতেছিল কিন্তু  আমার কাগজ পত্র আছে। তাই আমি দখল করেছি।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের  ভাঙ্গা থানার এস,আই শওকত হোসেন জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।