মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বসতবাড়ীর সামনে বেড়া নির্মানকে কেন্দ্র করে স্কুল সভাপতির হামলায় এক অন্তঃসত্তা নারীসহ ৩ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত ৭ মাসের অন্তঃসত্তা নারীসহ ৩ জনকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় যন্টু রাজবংশী বাদী হয়ে ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল এন্ড কলেজ ও ভাগ্যকুল ইউনিয়ন আঃলীগের সভাপতি মনির হোসেন@মিটুলসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী যন্টু রাজবংশীর বসতবাড়ী ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে হওয়ায় তিনি গত ৫ মে একটি টিনের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে দেন। এই বেড়া নির্মানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে ঐ স্কুলের ও সভাপতি মনির হোসেন@মিটুলসহ একই এলাকার মৃত সুরেন্দ্র দাসের ছেলে রাম প্রসাদ দাস, মতি লাল মালোর ছেলে নিরঞ্জন মালো, সিরাজ সরদারের ছেলে রবিন সরদার ও নিরঞ্জন মালোর স্ত্রী মঞ্জু রানী মালো ও অজ্ঞাতনামা ৭-৮জন হাতে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বে-আইনীভাবে অতর্কিত যন্টুর বসতবাড়ীতে ঢুকে টিনের বেড়া ভাংচুরসহ গালিগালাজ শুরু করেন। এসময় যন্টুসহ তার স্ত্রী স্নেহ রানী ও অন্তঃসত্তা মেয়ে সম্পা রানী বাঁধা নিষেধ করলে তাদেরকে চড়,কিলঘুষি, লাথি ও কাঠের ডাসা দিয়ে এলোপাথারী পিটিয়ে আহত করে। আহতদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মিটুলগং বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থ ত্যাগ করেন।
এব্যাপারের অভিযুক্ত ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল এন্ড কলেজ ও ইউনিয়ন আঃলীগের সভাপতি মনির হোসেন@মিটুল এর কাছে জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।