ফরিদগঞ্জে বিএনপি নেতার পিকআপ ভ্যান গাড়িতে আগুন দিয়েছে একটি চক্র। গত ২৮ নভেম্বর রাতে পূর্ব শত্রুতার যের ধরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন পরিবারটি। উপজেলার ৫ নং গুপ্টি ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সূত্রে জানাযায়, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিন সর্দারের (সওদাগর) ছেলে রুবেল হোসেনের গায়ে হলুদে একদল সন্ত্রাসী এসে বিভিন্ন রকম অশৃংখল পায়তারা করে। এই সময় আমিন সওদাগরেরা বিরক্ত বোধ করলে ওই উশৃংখল যুবকেরা বিয়ে বাড়ির গেটসহ বিভিন্ন জিনিস পত্র ভাংচুর করে। এতে করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হলে স্থানীয় লোকজন সমাধান করবে বলে আশ্বাস দেন। সেই শত্রুতার জের ধরে গত ২৮ নভেম্বর রাতে ওই যুবকেরা বাড়ির সামনে থাকা আমিন সওদাগরের পিকআপ ভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে গাড়িটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। নিরুপায় হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে অভিযুক্তরা হলেন, স্বপন হোসেন, বাবু, মোঃ সিয়াম, মোঃ খোকন, মোঃ রাছেল, মোঃ হান্নান সহ ৭/১০ জন।
স্থানীয় লোকজন বলেন, আমির সর্দারের ছেলের গায়ে হলুদে স্বপন, বাবু, রাছেল সহ কয়েকজন এসে হামলা চালায়। এই সময় তারা বাড়ির গেট ভেঙ্গে দেয়। দুই দিন পরে আবার এসে কাউকে না পেয়ে বাড়ির সামনে থাকা গাড়িটি আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
অভিযোগ কারি আমির সর্দারে স্ত্রী মাকছুদা বলেন, আমার ছেলের গায়ে হলুদে তারা এসে মেয়েদের সাথে বাজে কথা বলে, এবং বিভিন্ন রকম উশৃংখল আচরণ করে। তাই তাদেরকে আমরা বের করে দেই। তারা বের হয়ে আমাদের বাড়ির বিয়ের গেট ভেঙ্গে দেয়। দুই দিন পরে এসে আমাদের বাড়ির সামনে থাকা পিক-আপে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমাদের মেয়েদের গলায় থেকে স্বর্ণের চেইন সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র নিয়ে যায়। আমরা এর বিচার চাই।
বিষয়টি নিয়ে আমিন সওদাগর বলেন, কিছুদিন আগে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা খরচ করে আমি পিকআপ ভ্যানটি কিনি। কিন্তু তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তরা আমার এই পিকআপ ভ্যানটি পুড়িয়ে দেয় এবং বাড়ি থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায়। প্রশাসনিকভাবে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ফরিদগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর আমজাদ বলেন, গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, সেখানে গিয়ে জানলাম যে বিয়ে বাড়িতে অনৈতিক আচরণকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি এখন তদন্ত চলমান অবস্থা রয়েছে।