ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জে এক প্রবাসীকে প্লট কিনে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা 

মালেশিয়ান প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক মোঃ মহসিন পাটোয়ারীকে ঢাকায় আবাসিক প্লট কিনে দিবে বলে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে একই এলাকার মোঃ রহিম পাটোয়ারী। এ বিষয়ে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছেন প্রবাসী নাগরিক মোঃ মহসিন পাটোয়ারী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মালেশিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক মোঃ মহসিন পাটোয়ারীর বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চররাঘোবরা গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ি। অন্যদিকে অভিযুক্ত মোঃ রহিম পাটোয়ারী ও একই এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগকারী মোঃ মহসিন পাটোয়ারী বলেন, তিনি মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন অবস্থায় অভিযুক্ত আব্দুর রহিম তাকে ঢাকায় একটি আবাসিক প্লট কিনে দিবে বলে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। এবং প্লট রেজিস্ট্রি করে দেই- দিচ্ছি বলে দীর্ঘদিন ধরে কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরে অনেক চাপাচাপির পর ঢাকার কেরানীগঞ্জে ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ৪ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়। কিন্তু ওই জায়গা নাম জারি জমাবাদ সম্পন্ন করলে দেখা যায় উক্ত সম্পত্তির মালিক অন্য একজন। এবং এই নিয়ে মামলা দায়ের করলে আমার মামলা খারিজ হয়ে যায়। এবং অভিযুক্ত রহিম পাটোয়ারী আমার সাথে যে প্রতারণা করেছে তা প্রকাশ পেয়ে যায়। পরে এলাকার পঞ্চায়েত, মেম্বার, এবং তার আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে সঠিক সমাধানের জন্য বসতে চাইলে তিনি না বসে উল্টো আমাকে বিভিন্ন রকম বয় ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে আমি সঠিক সমাধান না পেয়ে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দাখিল করি।
অন্যদিকে চাঁদপুরের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র), ইনচার্জ, প্রবাসী কল্যাণ হেল্প ডেক্স, পুলিশ সুপারের কার্যালয় চাঁদপুর এর সৈয়দ আব্দুল্লাহের প্রতিবেদনে জানা যায়, অভিযোগকারী প্রবাসী মোঃ মহসিন পাটোয়ারীর লেনদেনের প্রমাণ স্বরূপ ব্যাংক রশিদ দাখিল এবং নগদ টাকা প্রদানের সত্যতা পাওয়া যায়। এবং কেরানীগঞ্জে ভুয়া সম্পত্তি দিয়ে যে প্রতারণা করেছে তাও প্রমাণিত হয়। কিন্তু বিবাদী রহিম পাটোয়ারীকে বারবার নোটিশ প্রদান করা হইলেও তিনি উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে বারবার সময় প্রার্থনা করেন। পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ আব্দুল্লাহ আরো বলেন, তার সার্বিক অনুসন্ধানে বাদীর মূল অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এবং বিবাদীকে বারবার নোটিশ প্রদান করা হলেও তিনি হাজির না হওয়ায় অভিযোগকারী মহসিন পাটোয়ারীকে আদালতের শরণাপন্ন হয়ে বিচার পাওয়ায় পরামর্শ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য; অভিযোগকারী প্রবাসী মোঃ মহসিন পাটোয়ারী ও অভিযুক্ত আব্দুর রহিম পাটোয়ারীর এলাকায় গিয়ে জানা যায়, মোঃ রহিমকে এলাকায় একজন প্রতারক ও বাটপার হিসেবেই মানুষ চিনে। তিনি দীর্ঘদিন এলাকার বিভিন্ন সুশীল সমাজ ও অর্থশালীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। বর্তমানে তিনি চাদপুর শহরের অজ্ঞাত স্থানে একটি বাসা ভাড়া করে বসবাস করছে বলে জানা যায়।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদারীপুর থেকে চুরি হওয়া গরু ফরিদপুরে জনতার হাতে চোর সহ আটক

ফরিদগঞ্জে এক প্রবাসীকে প্লট কিনে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা 

আপডেট সময় ০২:২২:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

মালেশিয়ান প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক মোঃ মহসিন পাটোয়ারীকে ঢাকায় আবাসিক প্লট কিনে দিবে বলে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে একই এলাকার মোঃ রহিম পাটোয়ারী। এ বিষয়ে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছেন প্রবাসী নাগরিক মোঃ মহসিন পাটোয়ারী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মালেশিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক মোঃ মহসিন পাটোয়ারীর বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চররাঘোবরা গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ি। অন্যদিকে অভিযুক্ত মোঃ রহিম পাটোয়ারী ও একই এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগকারী মোঃ মহসিন পাটোয়ারী বলেন, তিনি মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন অবস্থায় অভিযুক্ত আব্দুর রহিম তাকে ঢাকায় একটি আবাসিক প্লট কিনে দিবে বলে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। এবং প্লট রেজিস্ট্রি করে দেই- দিচ্ছি বলে দীর্ঘদিন ধরে কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরে অনেক চাপাচাপির পর ঢাকার কেরানীগঞ্জে ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ৪ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়। কিন্তু ওই জায়গা নাম জারি জমাবাদ সম্পন্ন করলে দেখা যায় উক্ত সম্পত্তির মালিক অন্য একজন। এবং এই নিয়ে মামলা দায়ের করলে আমার মামলা খারিজ হয়ে যায়। এবং অভিযুক্ত রহিম পাটোয়ারী আমার সাথে যে প্রতারণা করেছে তা প্রকাশ পেয়ে যায়। পরে এলাকার পঞ্চায়েত, মেম্বার, এবং তার আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে সঠিক সমাধানের জন্য বসতে চাইলে তিনি না বসে উল্টো আমাকে বিভিন্ন রকম বয় ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে আমি সঠিক সমাধান না পেয়ে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দাখিল করি।
অন্যদিকে চাঁদপুরের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র), ইনচার্জ, প্রবাসী কল্যাণ হেল্প ডেক্স, পুলিশ সুপারের কার্যালয় চাঁদপুর এর সৈয়দ আব্দুল্লাহের প্রতিবেদনে জানা যায়, অভিযোগকারী প্রবাসী মোঃ মহসিন পাটোয়ারীর লেনদেনের প্রমাণ স্বরূপ ব্যাংক রশিদ দাখিল এবং নগদ টাকা প্রদানের সত্যতা পাওয়া যায়। এবং কেরানীগঞ্জে ভুয়া সম্পত্তি দিয়ে যে প্রতারণা করেছে তাও প্রমাণিত হয়। কিন্তু বিবাদী রহিম পাটোয়ারীকে বারবার নোটিশ প্রদান করা হইলেও তিনি উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে বারবার সময় প্রার্থনা করেন। পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ আব্দুল্লাহ আরো বলেন, তার সার্বিক অনুসন্ধানে বাদীর মূল অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এবং বিবাদীকে বারবার নোটিশ প্রদান করা হলেও তিনি হাজির না হওয়ায় অভিযোগকারী মহসিন পাটোয়ারীকে আদালতের শরণাপন্ন হয়ে বিচার পাওয়ায় পরামর্শ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য; অভিযোগকারী প্রবাসী মোঃ মহসিন পাটোয়ারী ও অভিযুক্ত আব্দুর রহিম পাটোয়ারীর এলাকায় গিয়ে জানা যায়, মোঃ রহিমকে এলাকায় একজন প্রতারক ও বাটপার হিসেবেই মানুষ চিনে। তিনি দীর্ঘদিন এলাকার বিভিন্ন সুশীল সমাজ ও অর্থশালীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। বর্তমানে তিনি চাদপুর শহরের অজ্ঞাত স্থানে একটি বাসা ভাড়া করে বসবাস করছে বলে জানা যায়।