সনাতন ধর্মবিশ্বাসী সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) সংগঠক ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারাগারে পাঠানোকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে সংঘটিত সংঘর্ষের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনি।
২৭ নভেম্বর (বুধবার) মধ্যরাতে নগরীর পাথরঘাটা মাথার পট্টি, আন্দরকিল্লা, হাজারী গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে যৌথবাহিনি তাদের আটক করেছে যৌথবাহিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ।
তিনি জানান, মঙ্গলবার থেকে এ পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায়ও মামলা হবে। যাচাই-বাছাই শেষে এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়ার পর আদালত চত্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তার সমর্থকরা। এ সময় এপিপি সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন জানান, আজ সকাল সাড়ে ৮টায় নিহত আইনজীবী সাইফুলের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর সকাল ১০টায় আদালত প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে বেলা ১১টায় নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে দ্বিতীয় দফা এবং বাদ আসর গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়ায় তৃতীয় দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে আজ বুধবার ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর চট্টগ্রাম আদালতের জামিন শুনানির কথা থাকলেও তরুণ আইনজীবী সাইফুল হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আদালত বর্জনের ডাক দিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি।
চমেক হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে,আইনজীবী সাইফুলের শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত ছিল।