১৬০ ফুট দৌর্ঘ ও ৬ ফুট প্রস্থর সেতুটি প্রায় ১৫ বছর আগে নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার।
দীর্ঘ দিন যাবত সংস্কার না করা সেতুটি পাসের অনুপ হয়ে গিয়েছিল। ঝুঁকির মধ্যদিয়ে পার হতে হয় নসিমন, ইজিবাইক, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল, অটো রিক্সা, ভ্যানসহ অনান্য যানবাহন, যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। এমন চিত্র দেখে সহযোগিতার হাত বারিয়ে দিলেন, উত্তর তারাবুনিয়া ২নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা আব্দুল হাসেম শিকদার এর ছেলে কুয়েত প্রবাসী আব্দুছ সাত্তার শিকদার।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় আজ শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানাধীন উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ছুরির চর
নিজ অর্থায়নে ব্রিজটি সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে,ব্রিজটি নতুন করে উদ্বোধনকরেন আব্দুছ সাত্তার শিকদার। তার এমন উদ্যোগ ও সহযোগিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
এসময় স্থানীয় সাবেক উত্তর তারাবুনিয়া ইউপি সদস্য
বালা মামুদ গণমাধ্যম কে জানান, আমার তালই এই
ঝকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজ টি দেখে, আমাদের সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করে, নিজ অর্থায়নে এই ব্রিজ টি সংস্কার করে দিয়েছেন, ঝুঁকির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মানুষ যাতায়াত করেছে। আজ কিছুটা হলেও মানুষ সুন্দর ভাবে ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। আমার এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সাত্তার শিকদারকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা ভালোবাসা প্রকাশ করছি।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য জালাল খান বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা এই ভাঙ্গা ব্রিজ টি কোন ধরনের কাজ করতে পারি নাই, একাদিক বার সরকারের নিকট আবেদন করলেও সরকারি ফান্ড থেকে কোন ধরনের সহায়তা করা হয়নি, এনামুল হক শামীমকে বলা হয়েছিল তিনি শুধু আশ্বাসের ভিতর রেখেছেন, আমরা সকলে আলাপ আলোচনা করেছি, যেহেতু মানুষের সমস্যা হচ্ছে কিভাবে যাতায়াত করবে সেই বিষয়টা নিয়ে, আমার বিয়াই সাত্তার শিকদার কে বলার পর।
তিনি এই ছুরিরচর বাঁশির কথা চিন্তা করে সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে সমস্ত টাকা তিনি বহন করে
আজকে আমাদের উপস্থিতিতে ব্রিজ টি মেরামতের কাজ শেষ করে তিনি এলাকাবাসীর উপস্থিততে উদ্বোধন করে দিয়ে যান, আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই।
এবিষয়ে কুয়েত প্রবাসী আব্দুছ সাত্তার শিকদার বলেন,
আমি এলাকার রাজনীতি করবো, সেই কথা চিন্তা করে নয়, আমি সেদিন বাড়িতে আসার পর দেখলাম যে এখান দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে খুবই সমস্যার হচ্ছে। যেকোনো সময় একটি বড় দুর্ঘটনা করতে পারে, কিছুদিন আগেও একটি মহিলা ব্রিজ থেকে পড়ে গিয়েছিল, বাচ্চারা সময়মতো স্কুলে যেতে পারে না, সবদিক বিবেচনা করে, আমি আমার এই ছুটির চর বাঁশির সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করি, এবং আমি নিজে সকল অর্থ বহন করে এই ব্রিজ টি মেরামত করে দেবো এই সিদ্ধান্ত নেই, এবং সোহেল শিকদার ও তুহিন মামুদ কে দায়িত্ব দেই দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজটির কাজ শেষ করার জন্য, আজকে ব্রিজটির মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে, লোক জনের উপস্থিতিতে মোনাজাত এর মধ্যে দিয়ে আজকে
আবারও নতুন করে এই বেইলি ব্রিজটির শুভ উদ্বোধন করি, সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন আগামীতেও মানুষের কল্যানে কাজ করতে পারি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বালা মামুদ, অলি উল্লাহ মামুদ, জালাল খান, আয়ুব আলী মামুদ, রশিদ মাঝী,লাল মিয়া বেপারী, সোহেল শিকদার, তুহিন মাহমুদ,হাফেজ মাও: আঃ কাদির, মানিক সৌদি প্রবাসী, সাইফুল ইমাম, মাও, রবিউল ইসলাম, সরফ আলি,
জাকির খালাশি, রাজিব মামুদ, আবু কালাম বেপারী। সহ স্থানীয়রা।
তবে ব্রিজ টি মেরামত হওয়ায় সঠিক সময়ে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা গিয়ে লেখা পড়া করতে পারবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।