ঢাকা ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁও উপজেলার বিএনপির রাজনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন মুকুল

 নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলাটি ছিল মূলত বিএনপির ঘাঁটি। নারায়ণগঞ্জ ৩ সোনারগাঁও আসনে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সোনারগাঁও উপজেলার সংসদ সদস্য ছিলেন অধ্যাপক  রেজাউল করিম। পরপর তিনবার বিএনপির সংসদ সদস্য  নির্বাচিত হয়ে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়।
২০০৬ সালের পরে সামরিক সরকার ও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি,তাই তারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেনি। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের ফলে বিএনপি দলটি নির্বাচন মুখী হয়ে পড়ে। তাই সংসদ সদস্য প্রার্থীরা যে যার মতো করে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে সোনারগাঁও উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা ঘুরে জনগণ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান জনমত জরিপে এগিয়ে থাকলেও যদি বর্তমান ইউনুস সরকার সংসদ সদস্য হতে নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক করেন। তাহলে সেক্ষেত্রে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান পিছিয়ে যাবেন।
অন্যদিকে তৃণমূল থেকে উঠে আসা সাবেক সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি,উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুল তার বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে সোনারগাঁও উপজেলার প্রত্যেকটি এলাকায় তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে ইতিমধ্যে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। সাধারণ ভোটাররা শাহ আলম মুকুলের মত যোগ্য ব্যক্তিকে সোনারগাঁও উপজেলার সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায় বলে তাদের মনের আশা ব্যক্ত করেন।
রাজনৈতিক ভাবে বিতর্কিত না হওয়ার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক বিএনপির নেতারা জানান,শাহ আলম মুকুল দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, তার হাত ধরে হাজার হাজার নেতা কর্মী সৃষ্টি হয়েছে সোনারগাঁয়ের বিএনপির রাজনীতিতে,তার মতো কর্মীবান্ধব নেতা পাওয়া দুষ্কর। তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের সুখে-দুখে সবসময় পাশে থাকেন। বিগত সময়ের সরকার বিরোধী আন্দোলনে তার নেতৃত্বে সোনারগাঁও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সভা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা খুব কাছ থেকে তা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত করেছি,তাই আমরা আশা করি শাহ আলম মুকুল ভাইকে কেন্দ্রীয় বিএনপি নিরাশ করবে না,তার কর্মকাণ্ডের ফলাফল তিনি পাবেন ইনশাল্লাহ। আমরা আশা করি তিনি সোনারগাঁয়ের সংসদ সদস্য নির্বাচিত সোনারগাঁও উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
আরেক সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির কান্ডারী সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সরকারি হিসেবে ৪ বারের সংসদ সদস্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বয়সের কারণে প্রবীণ হয়ে গেছেন,দীর্ঘদিন যাবৎ নানা প্রকার শারীরিক সমস্যার কারণে তিনি ২০১৮ সালের পর রাজনীতি থেকে দূরে চলে যান। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সভা সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এর পর থেকে তিনি ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন,কিন্তু নেতাকর্মীদের সাথে দীর্ঘদিনের মনোমালিন্যের কারণে তিনি রাজনৈতিক ভাবে পিছিয়ে গিয়েছেন।
সোনারগাঁও উপজেলার কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজের অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তিনি কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি। সোনারগাঁও উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে তিনি সৎ, সাহসী, যোগ্য ও কর্মীবান্ধব  নেতা হিসেবে পরিচিত। ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুলের নেতাকর্মীরা জানান, তিনি সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র রাজনীতিতে এগিয়ে থাকলেও সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম কে নানাভাবে সমর্থন ও ছাড় দেওয়ার কারণে তিনি রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে যাচ্ছেন।
সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক নুরে ইয়াসিন নোবেল জানান,নির্বাচন এখনো অনেক দূরে এখনই বলা যাবে না কে সোনারগাঁও উপজেলা থেকে বিএনপির মনোনয়ন পাবে।তবে আমার মতে সৎ,যোগ্য ও  শিক্ষিত ব্যক্তির হাতে যেন মহান সংসদের দায়িত্ব যায়।
ঘুরেফিরে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র তৃণমূল নেতাকর্মীদের এক কথা দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দিবে,আমরা তার নির্বাচন করতে বাধ্য থাকব। কারন আমরা জিয়ার আদর্শের সৈনিক আমরা কারো ব্যক্তিগত কর্মচারী না।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাগ্যকুলে সরকারী খাল ভরাটের অভিযোগ প্রভাবশালী ফজল কারিকরের বিরুদ্ধে

সোনারগাঁও উপজেলার বিএনপির রাজনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন মুকুল

আপডেট সময় ০১:০১:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
 নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলাটি ছিল মূলত বিএনপির ঘাঁটি। নারায়ণগঞ্জ ৩ সোনারগাঁও আসনে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সোনারগাঁও উপজেলার সংসদ সদস্য ছিলেন অধ্যাপক  রেজাউল করিম। পরপর তিনবার বিএনপির সংসদ সদস্য  নির্বাচিত হয়ে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়।
২০০৬ সালের পরে সামরিক সরকার ও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি,তাই তারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেনি। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের ফলে বিএনপি দলটি নির্বাচন মুখী হয়ে পড়ে। তাই সংসদ সদস্য প্রার্থীরা যে যার মতো করে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে সোনারগাঁও উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা ঘুরে জনগণ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান জনমত জরিপে এগিয়ে থাকলেও যদি বর্তমান ইউনুস সরকার সংসদ সদস্য হতে নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক করেন। তাহলে সেক্ষেত্রে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান পিছিয়ে যাবেন।
অন্যদিকে তৃণমূল থেকে উঠে আসা সাবেক সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি,উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুল তার বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে সোনারগাঁও উপজেলার প্রত্যেকটি এলাকায় তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে ইতিমধ্যে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। সাধারণ ভোটাররা শাহ আলম মুকুলের মত যোগ্য ব্যক্তিকে সোনারগাঁও উপজেলার সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায় বলে তাদের মনের আশা ব্যক্ত করেন।
রাজনৈতিক ভাবে বিতর্কিত না হওয়ার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক বিএনপির নেতারা জানান,শাহ আলম মুকুল দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, তার হাত ধরে হাজার হাজার নেতা কর্মী সৃষ্টি হয়েছে সোনারগাঁয়ের বিএনপির রাজনীতিতে,তার মতো কর্মীবান্ধব নেতা পাওয়া দুষ্কর। তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের সুখে-দুখে সবসময় পাশে থাকেন। বিগত সময়ের সরকার বিরোধী আন্দোলনে তার নেতৃত্বে সোনারগাঁও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সভা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা খুব কাছ থেকে তা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত করেছি,তাই আমরা আশা করি শাহ আলম মুকুল ভাইকে কেন্দ্রীয় বিএনপি নিরাশ করবে না,তার কর্মকাণ্ডের ফলাফল তিনি পাবেন ইনশাল্লাহ। আমরা আশা করি তিনি সোনারগাঁয়ের সংসদ সদস্য নির্বাচিত সোনারগাঁও উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
আরেক সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির কান্ডারী সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সরকারি হিসেবে ৪ বারের সংসদ সদস্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বয়সের কারণে প্রবীণ হয়ে গেছেন,দীর্ঘদিন যাবৎ নানা প্রকার শারীরিক সমস্যার কারণে তিনি ২০১৮ সালের পর রাজনীতি থেকে দূরে চলে যান। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সভা সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এর পর থেকে তিনি ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন,কিন্তু নেতাকর্মীদের সাথে দীর্ঘদিনের মনোমালিন্যের কারণে তিনি রাজনৈতিক ভাবে পিছিয়ে গিয়েছেন।
সোনারগাঁও উপজেলার কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজের অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তিনি কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি। সোনারগাঁও উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে তিনি সৎ, সাহসী, যোগ্য ও কর্মীবান্ধব  নেতা হিসেবে পরিচিত। ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুলের নেতাকর্মীরা জানান, তিনি সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র রাজনীতিতে এগিয়ে থাকলেও সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম কে নানাভাবে সমর্থন ও ছাড় দেওয়ার কারণে তিনি রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে যাচ্ছেন।
সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক নুরে ইয়াসিন নোবেল জানান,নির্বাচন এখনো অনেক দূরে এখনই বলা যাবে না কে সোনারগাঁও উপজেলা থেকে বিএনপির মনোনয়ন পাবে।তবে আমার মতে সৎ,যোগ্য ও  শিক্ষিত ব্যক্তির হাতে যেন মহান সংসদের দায়িত্ব যায়।
ঘুরেফিরে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র তৃণমূল নেতাকর্মীদের এক কথা দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দিবে,আমরা তার নির্বাচন করতে বাধ্য থাকব। কারন আমরা জিয়ার আদর্শের সৈনিক আমরা কারো ব্যক্তিগত কর্মচারী না।