প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরছিল ৭ বছরের শিশু হুমায়রা। বাড়ির একেবারে কাছে আসার পরে অটোরিক্সার চাপায় তার মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় হুমায়রার স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের মতি খার কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হুমায়রা মতি খার কান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী ফারুক কাজীর মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হুমায়রা স্থানীয় কাজী বাড়ি সাইফিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল। শনিবার মাদ্রাসা ছুটি প্রতিদিনের মতো বাড়ি ফিরছিল হুমায়রা। বাড়ির একেবারে কাছাকাছি স্থানে পৌঁছানোর পরে একটি অটোরিক্সা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে চাপা দেয়। এরপর স্থানীয় ও স্বজনরা তাকে দ্রুত নিকটবর্তী চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় হুমায়রার বাড়িতে নেমেছে শোকের মাতম। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাপা দেওয়া অটোরিক্সা চালকের বিচার দাবি করেছেন তার স্বজনরা।
হুমায়রার স্বজন মামুন মিয়া বলেন, এর আগেও একই স্থানে আরো দুর্ঘটনা ঘটেছে। সড়কটি দুর্ঘটনা প্রবণ হওয়ায় এখান দিয়ে চালকদের সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালানো উচিত। কিন্তু সতর্ক হয়ে গাড়ি চালায় না বলেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা হুমায়রা হত্যার বিচার দাবি করছি।
বিষয়টি নিয়ে সখিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের মোল্লা কান্দি গ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।