ঢাকা ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে হামলায় আহত হওয়ার পর মামলা ও হুমকীতে  ব্যবসায়ীসহ আহতরা

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার ব্যবসায়ী, বিএনপি নেতা রিশাদ বেগ ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার পর উল্টো মামলার আবেদন করেছে প্রতিপক্ষ। এমনকি প্রতিনিয়ত মোবাইলে ফের হামলার হুমকী দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। এতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীনরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।
শনিবার ( ৯ নভেম্বর)  দুপুরে ফরিদপুর শহরের সাউদার্ন জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রিশাদ বেগ জানান, তিনি বৈধভাবে মানিকগঞ্জের বালু মহাল থেকে বালু ক্রয় করে এনে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার আরজ খা ডাঙ্গীতে রেখে বিক্রি করেন। এতে ক্ষুব্দ হন দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় থেকে অবৈধভাবে বালু ব্যবসা করে আসা কে এম ওবায়দুল বারী ওরফে দীপু খাঁ। এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে হুমকী ধামকী দিতে থাকেন। গত ০৬ নভেম্বর আরজ খা ডাঙ্গীতে বালুর খোলায় কাজ করার সময় কে এম ওবায়দুল বারী ওরফে দীপু খাঁ তার লোকজন নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। লাঠসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারধর ও এলোপাথারি কোপে তিনি (রিশাদ বেগ) সহ তার ভাই মজিবর বেগ ও ভাতিজা শোয়েব বেগকে গুরুত্বর জখম করে। পরে স্থানীয়রা প্রতিরোধ গড়ে তুললে তারা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আহতদের দুইজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও তিনি সাউদার্ন হাসপাতালে চিকিৎিসা নিচ্ছেন।
রিশাদ বেগ আরো জানান,  হামলা করে ক্ষান্ত হয়নি অবৈধ বালু ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী লালনকারী দিপু খা। উল্টো চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছেন তিনি। মামলায় অভিযোগে আহতদের আসামী করছেন। একই সাথে তার সহযোগীরা মোবাইলে ক্রমাগত হুমকী ধামকী দিয়ে যাচ্ছে।
যে কোনো সময় ফের হামলার ঘটনা ঘটতে পারে শংকা প্রকাশ করে রিশাদ খা বলেন, হাসপাতলেও আমরা নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছি। তিনি দাবী করেন, দিপু খা অত্যন্ত দূধর্ষ প্রকৃতির লোক। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় এমপি মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সাথে থেকে এলাকায় নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন। তার ভয়ে এলাকার মানুষ সংশয়ে থাকেন। এমনকি কেই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেতে পারেন না। এমন পরিস্থিতিতে তাদের উপর পুনরায় হামলার ঘটনা ঘটতে পারে এমন শংকায় প্রশাসনের প্রতি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানান।
রিশাদ বেগ, চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক বলে জানা গেছে।
এদিকে কে এম ওবায়দুল বারী ওরফে দীপু খাঁ এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার কোনো বালু ব্যবসা নেই। অনেক আগেই বাদ দিয়েছি। একটি ডাম্প ট্রাক আছে তা দিয়ে বালু পরিবহন করে সংশার চালাই। হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রিশাদ ও তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়েছিলো, এসময় এলাকাবাসী তাদের প্রতিরোধ করলে উল্টো আহত হয় তারাই। তিনি বলেন, রিশাদ আমার কাছে চাঁদা দাবী করেছিলো তাই আমি আদালতে অভিযোগ দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল গফফার জানান, রিশাদ বেগ বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, যা নথিভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাগ্যকুলে সরকারী খাল ভরাটের অভিযোগ প্রভাবশালী ফজল কারিকরের বিরুদ্ধে

ফরিদপুরে হামলায় আহত হওয়ার পর মামলা ও হুমকীতে  ব্যবসায়ীসহ আহতরা

আপডেট সময় ০৩:৫৭:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার ব্যবসায়ী, বিএনপি নেতা রিশাদ বেগ ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার পর উল্টো মামলার আবেদন করেছে প্রতিপক্ষ। এমনকি প্রতিনিয়ত মোবাইলে ফের হামলার হুমকী দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। এতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীনরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।
শনিবার ( ৯ নভেম্বর)  দুপুরে ফরিদপুর শহরের সাউদার্ন জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রিশাদ বেগ জানান, তিনি বৈধভাবে মানিকগঞ্জের বালু মহাল থেকে বালু ক্রয় করে এনে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার আরজ খা ডাঙ্গীতে রেখে বিক্রি করেন। এতে ক্ষুব্দ হন দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় থেকে অবৈধভাবে বালু ব্যবসা করে আসা কে এম ওবায়দুল বারী ওরফে দীপু খাঁ। এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে হুমকী ধামকী দিতে থাকেন। গত ০৬ নভেম্বর আরজ খা ডাঙ্গীতে বালুর খোলায় কাজ করার সময় কে এম ওবায়দুল বারী ওরফে দীপু খাঁ তার লোকজন নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। লাঠসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারধর ও এলোপাথারি কোপে তিনি (রিশাদ বেগ) সহ তার ভাই মজিবর বেগ ও ভাতিজা শোয়েব বেগকে গুরুত্বর জখম করে। পরে স্থানীয়রা প্রতিরোধ গড়ে তুললে তারা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আহতদের দুইজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও তিনি সাউদার্ন হাসপাতালে চিকিৎিসা নিচ্ছেন।
রিশাদ বেগ আরো জানান,  হামলা করে ক্ষান্ত হয়নি অবৈধ বালু ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী লালনকারী দিপু খা। উল্টো চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছেন তিনি। মামলায় অভিযোগে আহতদের আসামী করছেন। একই সাথে তার সহযোগীরা মোবাইলে ক্রমাগত হুমকী ধামকী দিয়ে যাচ্ছে।
যে কোনো সময় ফের হামলার ঘটনা ঘটতে পারে শংকা প্রকাশ করে রিশাদ খা বলেন, হাসপাতলেও আমরা নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছি। তিনি দাবী করেন, দিপু খা অত্যন্ত দূধর্ষ প্রকৃতির লোক। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় এমপি মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সাথে থেকে এলাকায় নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন। তার ভয়ে এলাকার মানুষ সংশয়ে থাকেন। এমনকি কেই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেতে পারেন না। এমন পরিস্থিতিতে তাদের উপর পুনরায় হামলার ঘটনা ঘটতে পারে এমন শংকায় প্রশাসনের প্রতি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানান।
রিশাদ বেগ, চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক বলে জানা গেছে।
এদিকে কে এম ওবায়দুল বারী ওরফে দীপু খাঁ এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার কোনো বালু ব্যবসা নেই। অনেক আগেই বাদ দিয়েছি। একটি ডাম্প ট্রাক আছে তা দিয়ে বালু পরিবহন করে সংশার চালাই। হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রিশাদ ও তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়েছিলো, এসময় এলাকাবাসী তাদের প্রতিরোধ করলে উল্টো আহত হয় তারাই। তিনি বলেন, রিশাদ আমার কাছে চাঁদা দাবী করেছিলো তাই আমি আদালতে অভিযোগ দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল গফফার জানান, রিশাদ বেগ বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, যা নথিভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।