স্থানীয়রা জানান, গত ২৫ অক্টোবর শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ঐ এলাকার বাহাদুরের ছেলে সিংগাপুর প্রবাসী শাহীন (২২) এর স্ত্রী আলভি আক্তার(১৯) নিজ ঘরে প্রতিবেশি মহিউদ্দিন এর ছেলে নিঝুম (২৬)কে এলাকাবাসী হাতে নাতে আটক করে। ঐদিনই ইউনিয়ন আঃলীগ সহ-সভাপতি আইয়ুব মিয়া বিষয়টি শালিস বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের ঘোষণা দেন এবং আলভি আক্তারকে তার খালু ও মায়ের নিকট এবং পরকিয়া প্রেমিক নিঝুমকে শালিস কারক আওয়ামী লীগ নেতা নিজেই তার জিম্মায় ছাড়িয়ে নেন এবং ৩১ অক্টোম্বর বিকেল ৪টায় পুনরায় সালিশ হবে বলে ঘোষণা করেন।
আঃলীগ নেতার নেতৃত্বে শালিস চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।পরকিয়া প্রেমিকা আলভি আক্তারের আলিফ নামে ৩ বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
জানা যায়, গত ৩ মাস পূর্বেও উক্ত পরকিয়া প্রেমিক যুগলকে আটক করে ছেড়ে দেন এলাকাবাসী। ঘটনার পর হতেই আলভিকে নিয়ে সংসার করবেন না বলে জানিয়ে দেন প্রবাসী স্বামী শাহিন। উক্ত নিঝুম একই এলাকায় ইতোপূর্বে সংবদ্ধ ধর্ষনের ঘটনা ঘটিয়ে টাকা দিয়ে পার পেয়ে গেছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
আলভি আক্তার বলেন, বিয়ের কথা বলে আমার সাথে দীর্ঘ এক বছর শারীরিক সম্পর্ক রেখেছে, আমার আগের সংসার শেষ, আমাকে এখন বিবাহ করতে হবে।
এ ব্যপারে নিঝুমের সাথে কথা বললে জানা যায়, সে কিছুতেই আলভি কে বিয়ে করতে ইচ্ছুক নন।
আলভি আক্তারের চাচা শ্বশুর মোঃ আহাদুল ইসলাম বলেন, তাদেরকে ধরতে গেলে নিঝুম আমাকে কিল ঘুষি মেরে পালাতে চেষ্টা করে এবং আমাকে গুলি করে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেন। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। খালু আবুল হোসেন জানান,ঐখানে শালিস বসলে মারামারি হবে শুনেছি। এজন্য শালিস হবে না।
এ ব্যাপারে বাড়ৈখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইয়ুব মিয়ার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়েটাকে তার মা ও খালু জিম্মা নেয়ার পর তার মায়ের সমস্যা হওয়াতে মীমাংসার তারিখ পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।