ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরীয়তপুরে সাঁকো নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কৃষক কে হত্যা’র অভিযোগ 

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কামাল বেপারী (৪৫) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ১২ টার দিকে উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের কাজিকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কামাল বেপারী কাজী কান্দি এলাকার মৃত হোসেন বেপারীর ছেলে। তিনি একজন কৃষক ছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নড়িয়া উপজেলার কাজী কান্দি গ্রামের আলী হোসেন সরদারের সঙ্গে একই এলাকার কামাল বেপারীর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলে আসছে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় একটি সাঁকো নিয়ে কামাল বেপারীর স্ত্রী মাসুদা বেগমের সঙ্গে প্রতিপক্ষ আলী হোসেন এর  চাচাতো ভাই আয়নাল সরদারের স্ত্রী শিরিন বেগমের বাকবিতন্ডা হয়। এ বিষয় নিয়ে  আলী হোসেন, আয়নাল সরদাররা ক্ষিপ্ত হয়। পরে দুপুরে স্থানীয় আন্ধারমানিক বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার সময় আলী হোসেন, আয়নাল সরদারসহ ১০/১২ জন মিলে কামাল বেপারীকে কাজী কান্দি এলাকার ইদ্রিস সরদারের বাড়ির ভিতরে নিয়ে ছুরি, হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে,  আহত  অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায় তারা।  পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে এলাকার বেসরকারি হাসপাতাল দেওয়ান মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে কামাল বেপারীর মৃত্যু হয়।
নিহত কামাল বেপারীর বড় ভাই সুলতান বেপারী (৫২) বলেন, আধিপত্য নিয়ে আলী হোসেন,  আয়নালদের সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্ব ছিল। আজ তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার ভাইকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তারা। আমি আমার ভাইর হত্যাকারীদের বিচার দাবি করছি।
নিহত কামাল বেপারীর বৃদ্ধ মা রঙ মালা বেগম (৭৫) বলেন, আমিতো কানে শুনি না। চোখে দেখি লোকজন দৌড়া দৌড়ি করছে। পরে আমি গিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় আমার ছেলে মাটিতে পরে আছে। পরে আমার ছেলেকে পানিতে ফেলবে দেখে চিৎকার করি। তাই ছেলেকে পানিতে ফালায়নি। তাকিয়ে দেখি সারা শরীরে আঘাত। পরে হাসপাতালে নিলে আমার ছেলে মারা যায়। আমি আমার ছেলেকে কি আর পাব না?
তবে অভিযুক্ত আলী হোসেন সরদার ও  আয়নাল সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের পাওয়া যায়নি।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, কাজী কান্দি এলাকায় এক কৃষককে কুপিয়ে জখম করেছে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাঁর মৃত্যু হয়। লাশ ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল  আছে। এঘটনায় এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুকুটিয়ায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-৫

শরীয়তপুরে সাঁকো নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে কৃষক কে হত্যা’র অভিযোগ 

আপডেট সময় ১০:৫৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কামাল বেপারী (৪৫) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ১২ টার দিকে উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের কাজিকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কামাল বেপারী কাজী কান্দি এলাকার মৃত হোসেন বেপারীর ছেলে। তিনি একজন কৃষক ছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নড়িয়া উপজেলার কাজী কান্দি গ্রামের আলী হোসেন সরদারের সঙ্গে একই এলাকার কামাল বেপারীর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলে আসছে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় একটি সাঁকো নিয়ে কামাল বেপারীর স্ত্রী মাসুদা বেগমের সঙ্গে প্রতিপক্ষ আলী হোসেন এর  চাচাতো ভাই আয়নাল সরদারের স্ত্রী শিরিন বেগমের বাকবিতন্ডা হয়। এ বিষয় নিয়ে  আলী হোসেন, আয়নাল সরদাররা ক্ষিপ্ত হয়। পরে দুপুরে স্থানীয় আন্ধারমানিক বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার সময় আলী হোসেন, আয়নাল সরদারসহ ১০/১২ জন মিলে কামাল বেপারীকে কাজী কান্দি এলাকার ইদ্রিস সরদারের বাড়ির ভিতরে নিয়ে ছুরি, হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে,  আহত  অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায় তারা।  পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে এলাকার বেসরকারি হাসপাতাল দেওয়ান মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে কামাল বেপারীর মৃত্যু হয়।
নিহত কামাল বেপারীর বড় ভাই সুলতান বেপারী (৫২) বলেন, আধিপত্য নিয়ে আলী হোসেন,  আয়নালদের সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্ব ছিল। আজ তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার ভাইকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তারা। আমি আমার ভাইর হত্যাকারীদের বিচার দাবি করছি।
নিহত কামাল বেপারীর বৃদ্ধ মা রঙ মালা বেগম (৭৫) বলেন, আমিতো কানে শুনি না। চোখে দেখি লোকজন দৌড়া দৌড়ি করছে। পরে আমি গিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় আমার ছেলে মাটিতে পরে আছে। পরে আমার ছেলেকে পানিতে ফেলবে দেখে চিৎকার করি। তাই ছেলেকে পানিতে ফালায়নি। তাকিয়ে দেখি সারা শরীরে আঘাত। পরে হাসপাতালে নিলে আমার ছেলে মারা যায়। আমি আমার ছেলেকে কি আর পাব না?
তবে অভিযুক্ত আলী হোসেন সরদার ও  আয়নাল সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের পাওয়া যায়নি।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, কাজী কান্দি এলাকায় এক কৃষককে কুপিয়ে জখম করেছে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাঁর মৃত্যু হয়। লাশ ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল  আছে। এঘটনায় এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।