ঢাকা ০৯:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস উদযাপন

 স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য প্রচারের লক্ষ্যে নীলফামারীতে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার নীলফামারী ২৫০ শয্যা বেড জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা: জাহাঙ্গীর আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন আর এম ও  ডা: আব্দুর রহিম সহ হাসপাতালের সকল বিভাগের চিকিৎসকগন।
অনুষ্ঠানে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ও চিকিৎসার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন রংপুর সদর হাসপাতালের এমডি (অনকোলজি) সহকারী সার্জন ডা: খন্দকার মোঃ আরিফ হাসনাত। এসময় তিনি বলেন-
 অক্টোবর মাসকে ‘স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস’ হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে নারী ও পুরুষ উভয়কেই স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি, লক্ষণ, এবং প্রতিরোধের পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করা যায়।
বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা নিলে অনেকক্ষেত্রেই ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব। তাই স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ ও পরীক্ষা সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বছরের স্লোগান হল: “প্রাথমিক পরীক্ষা, জীবন রক্ষা”।
স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer) হল স্তনগ্রন্থিতে (mammary glands) হওয়া একটি অঙ্গরাগজনিত ক্যান্সার। এটি মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সারগুলোর মধ্যে একটি।
তিনি স্তন ক্যান্সারের কারণসমূহ সম্পর্কে বলেন
 জিনেটিক কারণ: ব্র্যাক ১ এবং ব্র্যাক ২ (BRCA1 এবং BRCA2) নামক জিনগুলির মিউটেশন।
 হার্মোনাল কারণ: নারীর প্রজনন হরমোনের স্তরের ওঠানামা।
 বয়স: সাধারণত ৫০ বছরের উপরে মহিলাদের মধ্যে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি।
পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ক্যান্সার থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
 অন্যান্য জীবনধারার কারণ: ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক অব্যবস্থা ইত্যাদি।
উপসর্গসমূহ সম্পর্কে বলেন-
স্তনের মধ্যে গাঁট (lump) বা কোন পরিবর্তন।, স্তন বা বুকে ব্যথা, স্তন থেকে নিঃসরণ, ত্বকের পরিবর্তন, যেমন লালচে বা চামড়ার অস্বাভাবিক পরিবর্তন, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:, স্ক্রিনিং: মেমোগ্রাফি বা স্তন পরীক্ষার মাধ্যমে সময়মতো শনাক্তকরণ।
চিকিৎসা: অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি এবং হরমোনাল থেরাপি।
আমাদের সবার উচিত নিয়মিতভাবে স্তনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। সচেতনতার মাধ্যমে আমরা স্তন ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে পারি এবং জীবন বাঁচাতে পারি।
অনুষ্ঠানে সাইন্টেফিক পার্টনার বিকন অনকোলজী। বিকনের সহযোগিতায় এই কর্মসুচি পালন করা হয়।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলিফ পরিবহন খাদে : আহত-৩০

স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস উদযাপন

আপডেট সময় ০৮:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
 স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য প্রচারের লক্ষ্যে নীলফামারীতে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার নীলফামারী ২৫০ শয্যা বেড জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা: জাহাঙ্গীর আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন আর এম ও  ডা: আব্দুর রহিম সহ হাসপাতালের সকল বিভাগের চিকিৎসকগন।
অনুষ্ঠানে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ও চিকিৎসার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন রংপুর সদর হাসপাতালের এমডি (অনকোলজি) সহকারী সার্জন ডা: খন্দকার মোঃ আরিফ হাসনাত। এসময় তিনি বলেন-
 অক্টোবর মাসকে ‘স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস’ হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে নারী ও পুরুষ উভয়কেই স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি, লক্ষণ, এবং প্রতিরোধের পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করা যায়।
বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা নিলে অনেকক্ষেত্রেই ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব। তাই স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ ও পরীক্ষা সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বছরের স্লোগান হল: “প্রাথমিক পরীক্ষা, জীবন রক্ষা”।
স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer) হল স্তনগ্রন্থিতে (mammary glands) হওয়া একটি অঙ্গরাগজনিত ক্যান্সার। এটি মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সারগুলোর মধ্যে একটি।
তিনি স্তন ক্যান্সারের কারণসমূহ সম্পর্কে বলেন
 জিনেটিক কারণ: ব্র্যাক ১ এবং ব্র্যাক ২ (BRCA1 এবং BRCA2) নামক জিনগুলির মিউটেশন।
 হার্মোনাল কারণ: নারীর প্রজনন হরমোনের স্তরের ওঠানামা।
 বয়স: সাধারণত ৫০ বছরের উপরে মহিলাদের মধ্যে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি।
পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ক্যান্সার থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
 অন্যান্য জীবনধারার কারণ: ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক অব্যবস্থা ইত্যাদি।
উপসর্গসমূহ সম্পর্কে বলেন-
স্তনের মধ্যে গাঁট (lump) বা কোন পরিবর্তন।, স্তন বা বুকে ব্যথা, স্তন থেকে নিঃসরণ, ত্বকের পরিবর্তন, যেমন লালচে বা চামড়ার অস্বাভাবিক পরিবর্তন, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:, স্ক্রিনিং: মেমোগ্রাফি বা স্তন পরীক্ষার মাধ্যমে সময়মতো শনাক্তকরণ।
চিকিৎসা: অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি এবং হরমোনাল থেরাপি।
আমাদের সবার উচিত নিয়মিতভাবে স্তনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। সচেতনতার মাধ্যমে আমরা স্তন ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে পারি এবং জীবন বাঁচাতে পারি।
অনুষ্ঠানে সাইন্টেফিক পার্টনার বিকন অনকোলজী। বিকনের সহযোগিতায় এই কর্মসুচি পালন করা হয়।