বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃক বুড়িগঙ্গা নদীর সোয়ারীঘাট ল্যান্ডিং স্টেশনের বৈধ ইজারাদার সালেহা খাতুন তার নিয়োজিত কর্মীদের নিয়ে শুল্ক আদায়ে চরম বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। যাত্রীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ৫ টাকা শুল্ক আদায়ের চেষ্টা করলেও কিছু অসাধু লোকজন এ কাজে বাধা সৃষ্টি করছে।
ইজারাদার সালেহা খাতুন জানান, বিআইডব্লিউটিএ এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সোয়ারীঘাটে টোল আদায়ের বৈধতা থাকা সত্ত্বেও তার কর্মীরা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ সময় কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এমনকি তাদের চেয়ার-টেবিল পর্যন্ত নদীতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন যে, এ ঘটনার পর বিআইডব্লিউটিএ ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বারবার অবগত করা হলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান এখনো হয়নি।
ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ছাত্ররা বলেন, ৫ তারিখে গণঅভ্যুত্থানের পর যখন দেশের পরিস্থিতি এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল, তখন তারা ঘোষণা করেছিল যে, দেশে সরকার না থাকায় কাউকে কোনো প্রকার খাজনা প্রদান করা যাবে না। ৫ তারিখের পর যখন সোয়ারীঘাটে খাজনা নিতে বসে আমরা সোয়ারীঘাটের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র কাছে গিয়ে আমরা বৈধতা পেয়েছি। এ সময় ছাত্ররা জনগণকে সরকারি রাজস্ব আদায়ে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ঘাটে খাজনা প্রদান করতে আহবান জানান। বিআইডব্লিউটিএ’র উপপরিচালক রেজাউল করিম জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সোয়ারীঘাটের ইজারা প্রদান করা হয়েছে এবং ল্যান্ডিং স্টেশনে প্রবেশকারী যাত্রীদের জন্য ৫ টাকা ও খেয়া পারাপারের জন্য ২ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে টোল আদায় শুরু হলেও কিছু লোক এ কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি আরও বলেন, সরকারের রাজস্ব আদায় বাধাগ্রস্ত হওয়া উচিত নয়, কারণ এটি দেশের উন্নয়নের সাথে সরাসরি সংযুক্ত। জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ঘাটগুলো সচল রাখতে এবং দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সঠিকভাবে শুল্ক প্রদান জরুরি।