ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেরানীগঞ্জে কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার ১০ টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকায়
হেভি গ্লোবাল  কেমিক্যালস ফ্যাক্টরি সরানোর দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার মানুষ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
ফ্যাক্টরি থেকে নির্গত বর্জ্যের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর সংগঠন সু-সচেতন নাগরিক কমিটির ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ ছাড়াও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেয়।  এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সু- নাগরিক কমিটির আহ্বয়ক ওসমান গনি , এসএম রহমতুল্লাহ, ইউসুফ আলী লষ্কর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ফ্যাক্টরি থেকে নির্গত দূষিত গ্যাস ও বর্জ্যের ফলে এলাকার ১০টি গ্রামের মানুষ, পশুপাখি, মৎস্য, জীব-বৈচিত্র্য হুমকির মুখে। অনেকে শ্বাসকষ্ট, চর্ম রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। কৃষি ফসল উৎপাদনেও সমস্যা হচ্ছে। কারখানা চালু থাকলে ভবিষ্যতে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে।
এলাকাবাসীর জীবন ও পরিবেশ রক্ষার জন্য তারা অবিলম্বে ফ্যাক্টরিটি অপসারণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১২ বছর আগে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় এই ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হয়। শুরুতে ওষুধ ফ্যাক্টরির কথা বলে কারখানা চালু করা হলেও সেখানে বিষাক্ত গ্যাস ও এসিড তৈরি করা হচ্ছে। কিছুদিন  আগে ফ্যাক্টরির ক্লোরিন গ্যাস পাইপ ছিদ্র হয়ে হাসনাবাদসহ আশপাশের এলাকার পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে হয়ে উঠে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গেলে তারাও আক্রান্ত হয়।  এতদিন আওয়ামীলীগ সরকারের প্রভাবশালী এমপি আমীর হোসেন আমুর ভাগিনা পরিচয় দিয়ে মালিক সবুর খান কোন নিয়মিত পাক্কা না করেই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই অবৈধ ফ্যাক্টরি  চালিয়েছেন। সরকার পরিবর্তন হওয়া কিছু দিন বন্ধ রেখেছিলো কিন্তু আবার এখন চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা চাই এই জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে এই কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি অপসারণ করা হোক।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া বলেন,  জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি চালানোর কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ নিয়ে আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুকুটিয়ায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-৫

কেরানীগঞ্জে কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ১২:০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার ১০ টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকায়
হেভি গ্লোবাল  কেমিক্যালস ফ্যাক্টরি সরানোর দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার মানুষ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
ফ্যাক্টরি থেকে নির্গত বর্জ্যের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর সংগঠন সু-সচেতন নাগরিক কমিটির ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ ছাড়াও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেয়।  এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সু- নাগরিক কমিটির আহ্বয়ক ওসমান গনি , এসএম রহমতুল্লাহ, ইউসুফ আলী লষ্কর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ফ্যাক্টরি থেকে নির্গত দূষিত গ্যাস ও বর্জ্যের ফলে এলাকার ১০টি গ্রামের মানুষ, পশুপাখি, মৎস্য, জীব-বৈচিত্র্য হুমকির মুখে। অনেকে শ্বাসকষ্ট, চর্ম রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। কৃষি ফসল উৎপাদনেও সমস্যা হচ্ছে। কারখানা চালু থাকলে ভবিষ্যতে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে।
এলাকাবাসীর জীবন ও পরিবেশ রক্ষার জন্য তারা অবিলম্বে ফ্যাক্টরিটি অপসারণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১২ বছর আগে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় এই ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হয়। শুরুতে ওষুধ ফ্যাক্টরির কথা বলে কারখানা চালু করা হলেও সেখানে বিষাক্ত গ্যাস ও এসিড তৈরি করা হচ্ছে। কিছুদিন  আগে ফ্যাক্টরির ক্লোরিন গ্যাস পাইপ ছিদ্র হয়ে হাসনাবাদসহ আশপাশের এলাকার পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে হয়ে উঠে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গেলে তারাও আক্রান্ত হয়।  এতদিন আওয়ামীলীগ সরকারের প্রভাবশালী এমপি আমীর হোসেন আমুর ভাগিনা পরিচয় দিয়ে মালিক সবুর খান কোন নিয়মিত পাক্কা না করেই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই অবৈধ ফ্যাক্টরি  চালিয়েছেন। সরকার পরিবর্তন হওয়া কিছু দিন বন্ধ রেখেছিলো কিন্তু আবার এখন চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা চাই এই জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে এই কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি অপসারণ করা হোক।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া বলেন,  জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি চালানোর কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ নিয়ে আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।