ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিস্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় শার্শায় সাংবাদিক পরিবারসহ ৫টি পরিবার পানিবন্দি

 টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় শার্শার কায়বা ইউনিয়নের দিঘা চালিতাবাড়িয়া গ্ৰামে সাংবাদিক পরিবারসহ ৫ টি পরিবার দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় দিনরাত পার করছে।
পানি বন্দি থাকায় পানিবাহিত সহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাছাড়া বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি অসহায় মানুষ গুলোর হাঁটু পানির ভেতরেই বসবাস করতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক হুমায়ন কবির মিরাজ বলেন, ঘরের বারান্দা পর্যন্ত প্রায় পানি উঠে গেছে। চুলা এখন পানির নিচে ডুবে যাওয়ায় বাড়িতে রান্না ও হচ্ছে না।অনেক দিন যাবত পানি বন্দি থাকলেও প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না কেও।
শহিদুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন,নিজেরা দুই বেলা খেতে পারলেও গরু-ছাগল নিয়ে মহাবিপদে আছি। মাঠ-ঘাট তলিয়ে যাওয়ার ঘাস নেই।বাড়তি দামে কিছু ঘাস কিনে গরু-ছাগলকে খেতে দিচ্ছি। আমাদের খবর কেউ নিচ্ছে না, সেই সাথে সাপের ভয়েও ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
পানিবন্দি কাদের জানান, এই পাড়ায় কয়েক বছরে নতুন নতুন অনেক বাড়িঘর তৈরি হয়েছে। লোকজনের চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মান হলেও পানি নিষ্কাশনের কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়নি।ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই এই মহল্লায় পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
কায়বা ইউপি চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন বলেন,বিষয়টি আমি শুনেছি। আজ পরিদর্শন করে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারকে অবহিত করবো।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান জানান,পানি বন্দির বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। খোঁজ খবর নিয়ে অতি দ্রুত পানি নিস্কাসনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

নড়িয়ায় বাল্কহেডের ধাক্কায় নির্মাণাধীন বেইলি সেতু ভেঙে এক নির্মাণ শ্রমিক আহত

নিস্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় শার্শায় সাংবাদিক পরিবারসহ ৫টি পরিবার পানিবন্দি

আপডেট সময় ০৪:২০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
 টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় শার্শার কায়বা ইউনিয়নের দিঘা চালিতাবাড়িয়া গ্ৰামে সাংবাদিক পরিবারসহ ৫ টি পরিবার দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় দিনরাত পার করছে।
পানি বন্দি থাকায় পানিবাহিত সহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাছাড়া বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি অসহায় মানুষ গুলোর হাঁটু পানির ভেতরেই বসবাস করতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক হুমায়ন কবির মিরাজ বলেন, ঘরের বারান্দা পর্যন্ত প্রায় পানি উঠে গেছে। চুলা এখন পানির নিচে ডুবে যাওয়ায় বাড়িতে রান্না ও হচ্ছে না।অনেক দিন যাবত পানি বন্দি থাকলেও প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না কেও।
শহিদুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন,নিজেরা দুই বেলা খেতে পারলেও গরু-ছাগল নিয়ে মহাবিপদে আছি। মাঠ-ঘাট তলিয়ে যাওয়ার ঘাস নেই।বাড়তি দামে কিছু ঘাস কিনে গরু-ছাগলকে খেতে দিচ্ছি। আমাদের খবর কেউ নিচ্ছে না, সেই সাথে সাপের ভয়েও ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
পানিবন্দি কাদের জানান, এই পাড়ায় কয়েক বছরে নতুন নতুন অনেক বাড়িঘর তৈরি হয়েছে। লোকজনের চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মান হলেও পানি নিষ্কাশনের কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়নি।ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই এই মহল্লায় পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
কায়বা ইউপি চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন বলেন,বিষয়টি আমি শুনেছি। আজ পরিদর্শন করে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারকে অবহিত করবো।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান জানান,পানি বন্দির বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। খোঁজ খবর নিয়ে অতি দ্রুত পানি নিস্কাসনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।