বক্তারা জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। তাঁদের দেওয়া ১২তম গ্রেডের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য দেন ওই মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষকেরা। উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজ আলমের সঞ্চালনায় দাবি আদায়ের পক্ষে বক্তব্য দেন আরও অনেকে।
উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মনির হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সামচুল হক মাতুব্বর জানান, ‘যদি যোগ্যতার ভিত্তিতে আমাদের মূল্যায়ন করা হতো, তাহলে আগেই আমরা ১০ম গ্রেড পেয়ে যেতাম। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি জানান, সরকারি চাকরিতে গ্রেডের বৈষম্য দূর করে আমাদের ১০ম গ্রেড দিতে হবে।
সহকারী শিক্ষক ইয়ারন চৌধুরী জানান, ‘উপসহকারী পুলিশ কর্মকর্তা, নার্স, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, ডিপ্লোমা পাস করা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ১০ম গ্রেড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা অনার্স মাস্টার্স পাস করে শিক্ষকতা করেও ১৩তম গ্রেডের অন্তর্ভুক্ত। আমাদের অধিকার আদায়ে এক দফা দাবিতে উপস্থিত হয়েছি। আমাদের ১০ম গ্রেড দিতে হবে।’
এ সময় ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যৌক্তিকতা তুলে ধরে আরও বক্তব্য দেন সহকারী শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দে, মোঃ আমানত আলী, আবুল খাত্তাব চোকদার, রফিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান, শওকত হোসাইন প্রমুখ।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধির নিকট মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এর আগে বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে আসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকেরা মানববন্ধন উপলক্ষে প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন। এ সময় তারা আদায় সম্বলিত লেখা বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন প্রদর্শন করেন ।