শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার, সখিপুর ইউনিয়নের সরদার কান্দি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম রাড়ী’র দুই পুত্র আঃ মতিন রাড়ী ও সাইফুল ইসলাম রাড়ী’র মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলিতেছে।
এবিষয়ে আঃ মতিন রাড়ী বলেন, সম্পত্তির সঠিক ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে,আমি বাদী হয়ে, ১৮/১০/২০১৫ইং তারিখে বিজ্ঞ সহকারি জজ আদালত ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর এ একটি দেঃ- ৭৭/১২ মামলা দায়ের করেন,
ওই মামলার বিবাদীদের সাথে আপষ মীমাংসার কাগজপত্রে আমি আঃ মতিন রাড়ী ও সাইফুল ইসলাম রাড়ীর সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা করে দেওয়া হয়। কাগজ পত্র দেখে আর এস- ১০৯৭৯,১০৯৮১ দাগে ৪৪ শতাংশ ভুমি হইতে ৮ শতাংশ, যাহার বি আর এস, ৬২০ নং খতিয়ানে ১৬০৪০ আমার বসত বাড়ী। আর এস- ১০৯৬০,১০৯৬২,১০৯৬৩, দাগে ৭৬ শতাংশ হইতে ১৮ শতাংশ, উক্ত দাগে বিবাদী সাইফুল ইসলাম রাড়ীর নিকট হইতে এওয়াজ মুলে ১৪ শতাংশ ভুমি প্রাপ্ত আমি ১৮+১৪=৩২ শতাংশ ভুমি, যাহার বি আর এস- ৬২০ নং ১৫৬৮৯ । ১৫৬৮৯ তে আমার খেজুর বাগান, আমার কাগজ পত্র ঠিক থাকার পরেও সাইফুল ইসলাম রাড়ী ও তার ছেলে সোহাগ রাড়ী জোর জুলুম করতাছে, বসত ঘরে হামাল করেছে, ৫,২০,০০০ হাজার টাকা নিয়া গেছে, ৮ আনা, স্বর্ন নিয়ে গেছে এমন অভিযোগ তুলে আমি বাদী হয়ে এর সঠিক বিচার চেয়ে ৭ জনকে আসামী, ও অজ্ঞতানামা ৮/১০ জন। রেখে বিজ্ঞ চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সখিপুর, শরীয়তপুর। একটি মামলা দায়ের করি, সি আর ৩২৪/২৪ সখিপুর।
এবিষয়ে স্থানীয়দের সাথে আলাপ কালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, কাগজ পত্রে কথা বলবে, যার কাগজ আছে সেই পাবে।
লুট পাট ঘর বাড়ি ভাংচুর বিষয়ে জানিনা,
তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলিতেছে । আদালতে মামলাও হয়েছে উভয়ের।
এবিষয়ে সাইফুল ইসলাম রাড়ী বলেন, আমার সম্পত্তি কিনা, দলিলসহ সকল কাগজ পত্র আছে, কাগজ ছাড়া তো কোন কথা হবে না, ক্ষমতা দেখায়া আমার জমিতে আসতে দেয় নাই, আওয়ামী লীগ এর ক্ষমতা দেখাইয়া আমার সাইনবোর্ড ফালাইয়া দিছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে, হয়রানি করছে।
কোটে আমার ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আবারও মিথ্যা মামলা করেছে, কাগজ পত্রে পাইলে খামু,নাপাইলে ছাইরা দিমু।
এবিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওবাইদুর রহমান বলেন, দুই ভায়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের
জেরে আদালতে মামলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নালিশি জমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখায় নিমিত্তে মামলা চলাকালীন আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা প্রসঙ্গে, খেজুর বাগানে যেতে উভয়কেই নিষেধ করা হয়েছে, সুত্র পিটিশন ৬৫৮/২৪ ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করা হয়েছে। যার স্বারক নং – ৬০২০ পিটিশন- ৬৫৯/২৪
অঃ জেঃ ম্যাঃ আঃ শরীয়তপুর ২০২৪/১৪৭০
কেউ যদি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।