ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাঙ্গায় কুপিয়ে হত্যা : শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসদরের খাড়াকান্দা গ্রামে  দ্বিতীয় স্বামী আকবর আলীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে  সাবেক  স্বামী রমজান মাতুব্বর। এঘটনায় হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির  দাবিতে  বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী ।
রবিবার ( ২২ শে সেপ্টেম্বর)  সন্ধ্যায় ভাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের খাড়াকান্দা গ্রামে শশুর বাড়িতে ঘাতক  প্রথম স্বামী রমজান মাতুব্বর  ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়,  নিহত আকবর আলী খয়রাতি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কলম খয়রাতির ছেলে। ঘাতক প্রথম স্বামী রমজান মাতুব্বার ভাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের খাড়াকান্দা গ্রামের সোনা উল্লাহ মাতুব্বরের পুত্র।
সরেজমিনে গেলে নিহতের পুত্রবধু মঞ্জিলা বেগম ও স্থানীয়রা জানান , আমার শ্বশুর আকবর আলী খয়রাতি শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে  বাড়ির উপর মুদি দোকানদারি করত । হঠাৎ দুপুরে আমার শাশুড়ির প্রথম স্বামী রমজান মাতুব্বর একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে দ্বিতীয় স্বামী আকবর আলীকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে পালিয়ে  যায়। পরে আমার শশুরকে রক্তাক্ত অবস্থায় আমার শাশুড়ি ও আমার স্বামী ভাঙ্গা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ভাঙ্গা চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় আমার শ্বশুর আকবর আলী মারা যায়। তিনি হত্যাকারীর বিচার দাবী করেন।
 এ ঘটনায় গ্রামবাসীরা জানান, খাড়াকান্দা গ্রামের আব্দুল হাই মাতুব্বরের কন্যা আসমা বেগমের সাথে প্রথমে রমজানের বিয়ে হয়। বিয়ের ৬/৭ বছর পর রমজান মাতুব্বর তার স্ত্রী আসমাকে বাবার বাড়ি রেখে পালিয়ে ঢাকা চলে যায়। এর দুই বছর পরে আসমা বেগম  আকবর আলীকে ২য় বিয়ে করে। কিছুদিন পরে রমজান ফিরে এলে দ্বিতীয় স্বামীকে রেখে  তাকে বিয়ে করে। আবার কিছুদিন পর রমজান পূনরায় চলে  গেলে ফের বর্তমানে আকবরকে বিয়ে করে বসবাস করে আসছিল  । এই ঘটনা নিয়ে রমজানের সাথে আকবরের শত্রুতা চলে আসছিল। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে সুযোগ বুঝে তাকে হত্যা করে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার এসআই জয়ন্ত জানান,  আকবর আলী নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ১ম স্বামী রমজান আলী।   হত্যাকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল খাড়াকান্দা গ্রামে পৌছাই । লাশ ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। সোমবার আকবর আলীর ময়না তদন্ত সম্পন্ন হবে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।  তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে রাতে ঘাতক রমজান মাতুব্বরের ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসী ওই গ্রামে নানা শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে মীর সরফত আলী সপু’র  ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা ক্যাম্পেইন ও লিফলেট বিতরণ

ভাঙ্গায় কুপিয়ে হত্যা : শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০৪:১৩:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসদরের খাড়াকান্দা গ্রামে  দ্বিতীয় স্বামী আকবর আলীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে  সাবেক  স্বামী রমজান মাতুব্বর। এঘটনায় হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির  দাবিতে  বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী ।
রবিবার ( ২২ শে সেপ্টেম্বর)  সন্ধ্যায় ভাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের খাড়াকান্দা গ্রামে শশুর বাড়িতে ঘাতক  প্রথম স্বামী রমজান মাতুব্বর  ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়,  নিহত আকবর আলী খয়রাতি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কলম খয়রাতির ছেলে। ঘাতক প্রথম স্বামী রমজান মাতুব্বার ভাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের খাড়াকান্দা গ্রামের সোনা উল্লাহ মাতুব্বরের পুত্র।
সরেজমিনে গেলে নিহতের পুত্রবধু মঞ্জিলা বেগম ও স্থানীয়রা জানান , আমার শ্বশুর আকবর আলী খয়রাতি শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে  বাড়ির উপর মুদি দোকানদারি করত । হঠাৎ দুপুরে আমার শাশুড়ির প্রথম স্বামী রমজান মাতুব্বর একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে দ্বিতীয় স্বামী আকবর আলীকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে পালিয়ে  যায়। পরে আমার শশুরকে রক্তাক্ত অবস্থায় আমার শাশুড়ি ও আমার স্বামী ভাঙ্গা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ভাঙ্গা চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় আমার শ্বশুর আকবর আলী মারা যায়। তিনি হত্যাকারীর বিচার দাবী করেন।
 এ ঘটনায় গ্রামবাসীরা জানান, খাড়াকান্দা গ্রামের আব্দুল হাই মাতুব্বরের কন্যা আসমা বেগমের সাথে প্রথমে রমজানের বিয়ে হয়। বিয়ের ৬/৭ বছর পর রমজান মাতুব্বর তার স্ত্রী আসমাকে বাবার বাড়ি রেখে পালিয়ে ঢাকা চলে যায়। এর দুই বছর পরে আসমা বেগম  আকবর আলীকে ২য় বিয়ে করে। কিছুদিন পরে রমজান ফিরে এলে দ্বিতীয় স্বামীকে রেখে  তাকে বিয়ে করে। আবার কিছুদিন পর রমজান পূনরায় চলে  গেলে ফের বর্তমানে আকবরকে বিয়ে করে বসবাস করে আসছিল  । এই ঘটনা নিয়ে রমজানের সাথে আকবরের শত্রুতা চলে আসছিল। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে সুযোগ বুঝে তাকে হত্যা করে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার এসআই জয়ন্ত জানান,  আকবর আলী নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ১ম স্বামী রমজান আলী।   হত্যাকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল খাড়াকান্দা গ্রামে পৌছাই । লাশ ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। সোমবার আকবর আলীর ময়না তদন্ত সম্পন্ন হবে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।  তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে রাতে ঘাতক রমজান মাতুব্বরের ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসী ওই গ্রামে নানা শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে।