ফরিদপুরে কর্মীসভা পন্ড ও মারপিট করার অভিযোগে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক জিয়াউল হাসান মিঠুসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত দেড় থেকে দুইশত জনকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোজাম্মেল হোসেন মিঠু।
রবিবার ( ২৩ শে সেপ্টেম্বর) ফরিদপুর দ্রুত বিচার আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। শুনানী শেষে দ্রুত বিচার আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ শাওন হোসেন কোতয়ালী থানার ওসিকে মামলাটি গ্রহনের নির্দেশ দেন।
মামলা সুত্রে জানা যায় , বিগত ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা স্থানীয় অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে আয়োজন করা হয়। সেই সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী। সভা চলাকালীন সময়ে বিকাল চারটার দিকে জেলা যুবলীগের আহবায়ক জিয়াউল হাসান মিঠুর নেতৃত্বে কয়েকশ আসামী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আতংক সৃষ্টি করে এবং হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা কর্মীসভায় আগত নেতা-কর্মীদের বেদমভাবে প্রহার করে ও চেয়ার,টেবিলসহ মঞ্চ ভাংচুর করে।
অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার প্রশাসন ও বিচার বিভাগ কুক্ষিগত করার কারনে সেই সময় মামলা করা যায়নি। মামলার আসামীরা হলেন, ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু, যুবলীগ নেতা সুপ্ত খান, মুস্তাফিজুর রহমান শুভ, অসীম কুমার মালো, মোঃ সাদমান সৌমিক, আখতারুজ্জামান কুদ্দুস মোল্যা, ফারুক মাতুব্বর প্রমুখ সহ মামলায় অজ্ঞাত আরো দেড় থেকে দুইশ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবি মোঃ হেমায়েত হোসেন জানান, দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি রুজু করার পর বিজ্ঞ বিচারক ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসিকে মামলাটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন৷ আশা করি সুষ্ঠু বিচার পাবো।