ঢাকা ১২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে ১ যুগ ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল ১০ গ্রামের মানুষের

ফরিদপুরের সালথার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাগদী বাজারের প্রবেশ মুখে খালের ওপর নির্মিত সেতুর পাটাতন ভেঙ্গে দেবে রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বেরিয়ে গেছে রড। সেতুর দুই পাঁশে নেই  কোন রেলিং। পিলার-পাটাতনের পলেস্তার বিভিন্ন জায়গায়  ওঠে গেছে। সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশে মাত্র এক টুকরো কাঠের মাচল বিছিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন অন্তত ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষ। প্রায় ১যুগ ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকলেও যেন দেখার যেনো কেউ নেই। যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এমন অবস্থায় সেতুটি পুনরায় নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বড় হাট কাগদী বাজার। প্রতি সপ্তাহে দুই দিন এখানে হাট বসে। হাটের দিন আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষের মিলন-মেলা ঘটে এই বাজারে। বাজারের পাশেই রয়েছে কাগদী উচ্চ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বড় বাজারের প্রবেশ মুখে খালের ওপর অন্তত ৫০ বছর আগে ৬০ ফিট দৈর্ঘ্য ও ৭ ফিট প্রস্থের এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। যদিও সেতুটি ছোট হওয়ায় নির্মাণের পর থেকে সেতুটির ওপর দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। তবে ভ্যান ও অটোরিক্সা চলাচল করতো।
সরেজমিনে গেলে কাগদী বাজারের ব্যবসায়ী নাজমুল মাতুব্বর জানান, সেতুটি প্রায় একযুগ ধরে ভেঙে এভাবে দেবে রয়েছে। এমন অবস্থায় বাড়ি থেকে বাজারে ভ্যানযোগে চলাচল তো  দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলতেও ভয় লাগে। তারপরেও বাধ্য হয়ে সেতুর পাটাতনের ভেঙে যাওয়া অংশে কাঠের মাচল বিছিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছে মানুষ। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সব চেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে কোমলমতি  শিক্ষার্থী ও কৃষকরা। শিক্ষার্থীরা সেতুটি পার হওয়ার সময় ভয়ে থাকে। আর কৃষকরা যানবাহনে করে কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে প্রবেশ করতে পারে না। কৃষকরা তাদের কৃষিপন্য মাথায় করে এনে বাজারজাত করেন।
নাফিজ আলম,সুমন ইসলাম ও শিহাব হাসান  নামে স্থানীয়  শিক্ষার্থীরা জানান, একদম ছোট বেলা থেকে সেতুটি এমনভাবে পড়ে থাকতে দেখছি। আমরা নিয়মিতই আতঙ্ক-ভয় নিয়ে সেতুটি পার হই। বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীরা তো একা এই সেতু পারই হয় না। অভিভাবকরা তাদের কোলে করে স্কুলে দিয়ে-নিয়ে আসে। এমন অবস্থায় ওই খালের ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি অপসারণ করে নতুন একটি বড় ব্রীজ নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি। তাহলে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিয়া জানান, সেতুটির মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ণ হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ওখানে নতুন সেতুটি নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। প্রস্তাবটি পাস হলে যত দ্রুত সম্ভব, সেতুটি নির্মাণ করা হবে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী জানান, উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি নির্মাণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

নড়িয়ায় বাল্কহেডের ধাক্কায় নির্মাণাধীন বেইলি সেতু ভেঙে এক নির্মাণ শ্রমিক আহত

ফরিদপুরে ১ যুগ ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল ১০ গ্রামের মানুষের

আপডেট সময় ১২:৪৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফরিদপুরের সালথার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাগদী বাজারের প্রবেশ মুখে খালের ওপর নির্মিত সেতুর পাটাতন ভেঙ্গে দেবে রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বেরিয়ে গেছে রড। সেতুর দুই পাঁশে নেই  কোন রেলিং। পিলার-পাটাতনের পলেস্তার বিভিন্ন জায়গায়  ওঠে গেছে। সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশে মাত্র এক টুকরো কাঠের মাচল বিছিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন অন্তত ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষ। প্রায় ১যুগ ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকলেও যেন দেখার যেনো কেউ নেই। যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এমন অবস্থায় সেতুটি পুনরায় নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বড় হাট কাগদী বাজার। প্রতি সপ্তাহে দুই দিন এখানে হাট বসে। হাটের দিন আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষের মিলন-মেলা ঘটে এই বাজারে। বাজারের পাশেই রয়েছে কাগদী উচ্চ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বড় বাজারের প্রবেশ মুখে খালের ওপর অন্তত ৫০ বছর আগে ৬০ ফিট দৈর্ঘ্য ও ৭ ফিট প্রস্থের এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। যদিও সেতুটি ছোট হওয়ায় নির্মাণের পর থেকে সেতুটির ওপর দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। তবে ভ্যান ও অটোরিক্সা চলাচল করতো।
সরেজমিনে গেলে কাগদী বাজারের ব্যবসায়ী নাজমুল মাতুব্বর জানান, সেতুটি প্রায় একযুগ ধরে ভেঙে এভাবে দেবে রয়েছে। এমন অবস্থায় বাড়ি থেকে বাজারে ভ্যানযোগে চলাচল তো  দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলতেও ভয় লাগে। তারপরেও বাধ্য হয়ে সেতুর পাটাতনের ভেঙে যাওয়া অংশে কাঠের মাচল বিছিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছে মানুষ। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সব চেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে কোমলমতি  শিক্ষার্থী ও কৃষকরা। শিক্ষার্থীরা সেতুটি পার হওয়ার সময় ভয়ে থাকে। আর কৃষকরা যানবাহনে করে কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে প্রবেশ করতে পারে না। কৃষকরা তাদের কৃষিপন্য মাথায় করে এনে বাজারজাত করেন।
নাফিজ আলম,সুমন ইসলাম ও শিহাব হাসান  নামে স্থানীয়  শিক্ষার্থীরা জানান, একদম ছোট বেলা থেকে সেতুটি এমনভাবে পড়ে থাকতে দেখছি। আমরা নিয়মিতই আতঙ্ক-ভয় নিয়ে সেতুটি পার হই। বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীরা তো একা এই সেতু পারই হয় না। অভিভাবকরা তাদের কোলে করে স্কুলে দিয়ে-নিয়ে আসে। এমন অবস্থায় ওই খালের ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি অপসারণ করে নতুন একটি বড় ব্রীজ নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি। তাহলে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিয়া জানান, সেতুটির মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ণ হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ওখানে নতুন সেতুটি নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। প্রস্তাবটি পাস হলে যত দ্রুত সম্ভব, সেতুটি নির্মাণ করা হবে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী জানান, উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি নির্মাণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।