মুন্সিগঞ্জ লৌহজং উপজেলার বালিগাঁও বাস স্ট্যান্ডে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আ.লীগ নেতা ইকবাল বেপারীর চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বালিগাঁও এলাকার বাস স্ট্যান্ডের পরিবহন সেক্টর। স্থানীয় অটোরিক্সা, পরিবহন মালিক-চালকরা ও ভুক্তভোগীরা বলছেন, চাঁদা দেয়া নতুন কিছু নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিবহন মানিক বলেন, আমরা মুন্সীগঞ্জবাসী ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা হলেও বালিগাও বাসষ্ট্যান্ড থেকে মাওয়া-শ্রীনগর ঘুরে ঢাকা যেতে হয়। এ লাইনে নতুন কোন পরিবহন চালু করতে, গুনতে হয় মোটা অংকে টাকা।
বর্তমান দেশের এই ক্লান্তিলঘনে বিএনপি বিভিন্ন কথিত নেতা ও কর্মকর্তাদের নামে ইচ্ছেমতো অঙ্ক নির্ধারণ করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। আর এই পুরো চাঁদাবাজির নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করছেন ইকবাল বেপারীর, মোহাম্মদ আল-আমিন, সাকিল ও জামালসহ কয়েক সন্ত্রাসী।
স্থানীয় পরিবহন লাইনম্যান বলেন, তিনি বিভিন্ন সময়ে লাইনম্যানের কাজ করে প্রভাবশালীদের টাকা দিয়ে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি খিদিরপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক বিদেশ ফেরত শিল্পপতি ইকবাল বেপারীর কাছে চাঁদার টাকা জমা দেই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বৈরাচারী সরকার আ.লীগের সময়কাল থেকেই এ পরিবহন চাঁদাবাজি করতেন তিনি। বর্তমান অন্তঃবর্তি সরকারের সময়কালেও বিএনপি কিছু কথিত নেতার যোগসাজশে চালিয়ে যাচ্ছে এই চাঁদাবাজি। আরোও জানা যায়, এলাকায় অবৈধ ড্রেজার বানিজ্যে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তিনি। তাহার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউই মুখ খুলতে পারে না।
এ বিষয়ে ইকবাল বেপারী কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আ.লীগের আমলে চাঁদাবাজি ছিল, কিন্তু আমি আসার পরে চাঁদাবাজি বন্ধ করেছি। আপনি ষ্ট্যান্ডে খুঁজ নিয়ে দেখেন।