ঢাকা ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরের হাজী শরিয়তুল্লাহ বাজারের মাছ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট

ফরিদপুর পৌরসভা থেকে হাজী শরিয়তুল্লাহ বাজারের খোলা বাজারে মাছের খুচরা ব্যবসায়ীদের শতকরা সাত টাকা হারে খাজনা পরিশোধের নোটিশ দেয়ার প্রতিবাদে মাছ কেনা বেচা বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে অনেক বিপাকে পড়েছেন আড়তদারসহ ক্রেতারা।
 ইজারাদার প্রতিনিধি জানায়, পৌরসভার নোটিশ অনুযায়ী তারা আইনগতভাবেই খাজনা তোলার চেষ্টা করছিলেন। আর নোটিশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের দাবী বিধি সংগতভাবেই নোটিশ প্রদান করা হয়েছে ইজারাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে। যদিও মাছ কেনা বেচা বন্ধের বিষযে কিছু জানেনা বলে জানিয়েছেন পৌর প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম।
জানা যায়, হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজারের ট্রেড লাইসেন্সধারী মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ীরা টোলের আওতামুক্ত এবং পাইকারী ক্রেতা বা খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে নির্ধারিত হারে (শতকরা সাত টাকা) টোল আদায়ের নোটিশ ০৮ সেপ্টেম্বর প্রদান করা হয়। নোটিশ অনুযায়ী ইজারাদার কর্তৃপক্ষ ১০ সেপ্টেম্বর থেকে খাজনা তোলার ঘোষনা দিলে মঙ্গলবার সকাল থেকেই মাছ কেনা বেচা বন্ধ করে দেন পাইকারী ক্রেতা/খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা পুর্বের নিয়মে খাজনা পরিশোধ না করা হলে মাছ কেনা বেচা করবেন না বলে ও জানা যায়।
সরেজমিনে গেলে পাইকারী ক্রেতা বা খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, ইতিপুর্বে শতকরা তিন টাকা খাজনা আড়তদারদের পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হতো। খুচরা ব্যবসায়ীরা চাটাই ভাড়া দৈনিক ৭০ টাকা পরিশোধ করতো। তারা আরো জানান, বর্তমান নিয়ম চালু হলে মাছের মূল্যের উপরে প্রভাব পড়বে। এতে ক্রেতার অসন্তোষ সৃষ্টি হবে। তারা মনে করেন, এমনিতেই মাছের বাজার উদ্ধমূখী, এই পরিস্থিতিতে নতুর নোটিশ অনুযায় মাছের মূূল্য আরো বাড়াতে হবে, ফলে ক্রেতার সাথে বিক্রেতাদের সম্পর্কের অবনতির আশংকা তাদের। তাই এ সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মাছ কেনা বেচা বন্ধ রাখা হবে বলে জানান তারা।
এদিকে সকাল থেকে মাছ না কেনায় বিপাকে পড়েছেন আড়তদারেরা। অন্তত অর্ধকোটি টাকার মাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার শংকায় শংকিত তারা। আড়তদারদের দাবী, মাছের উর্দ্ধ মূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রনে মাছের বাজার থেকে খাজনা প্রত্যাহারের। আর মাছ বেচাকেনা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। মাছ কিনতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। দ্রুত এ সংকট নিরশনের দাবীও তাদের।
বাজারের ইজারাদারের প্রতিনিধি জানান, পৌরসভার নির্ধারিত হারেই খাজনা তোলার চেষ্টা করতেরই পাইকারী ক্রেতা/খুচরা ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে  ফরিদপুর পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম জানান, খাজনা তোলা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায় আইন সঙ্গতভাবেই খাজনা তুলতে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। যদিও মাছ কেনা বেচা বন্ধের বিষয়ে তিনি কিছু জানেনা বলে জানান। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ফরিদপুরের হাজী শরিয়তুল্লাহ বাজারে সাড়ে তিন শতাধিক পাইকারী ক্রেতা রয়েছেন। যারা প্রতিদিন  অর্ধ কোটি টাকার মাঠ কেনা বেচা করেন।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

নড়িয়ায় বাল্কহেডের ধাক্কায় নির্মাণাধীন বেইলি সেতু ভেঙে এক নির্মাণ শ্রমিক আহত

ফরিদপুরের হাজী শরিয়তুল্লাহ বাজারের মাছ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট

আপডেট সময় ০১:১৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফরিদপুর পৌরসভা থেকে হাজী শরিয়তুল্লাহ বাজারের খোলা বাজারে মাছের খুচরা ব্যবসায়ীদের শতকরা সাত টাকা হারে খাজনা পরিশোধের নোটিশ দেয়ার প্রতিবাদে মাছ কেনা বেচা বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে অনেক বিপাকে পড়েছেন আড়তদারসহ ক্রেতারা।
 ইজারাদার প্রতিনিধি জানায়, পৌরসভার নোটিশ অনুযায়ী তারা আইনগতভাবেই খাজনা তোলার চেষ্টা করছিলেন। আর নোটিশ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের দাবী বিধি সংগতভাবেই নোটিশ প্রদান করা হয়েছে ইজারাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে। যদিও মাছ কেনা বেচা বন্ধের বিষযে কিছু জানেনা বলে জানিয়েছেন পৌর প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম।
জানা যায়, হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজারের ট্রেড লাইসেন্সধারী মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ীরা টোলের আওতামুক্ত এবং পাইকারী ক্রেতা বা খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে নির্ধারিত হারে (শতকরা সাত টাকা) টোল আদায়ের নোটিশ ০৮ সেপ্টেম্বর প্রদান করা হয়। নোটিশ অনুযায়ী ইজারাদার কর্তৃপক্ষ ১০ সেপ্টেম্বর থেকে খাজনা তোলার ঘোষনা দিলে মঙ্গলবার সকাল থেকেই মাছ কেনা বেচা বন্ধ করে দেন পাইকারী ক্রেতা/খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা পুর্বের নিয়মে খাজনা পরিশোধ না করা হলে মাছ কেনা বেচা করবেন না বলে ও জানা যায়।
সরেজমিনে গেলে পাইকারী ক্রেতা বা খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, ইতিপুর্বে শতকরা তিন টাকা খাজনা আড়তদারদের পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হতো। খুচরা ব্যবসায়ীরা চাটাই ভাড়া দৈনিক ৭০ টাকা পরিশোধ করতো। তারা আরো জানান, বর্তমান নিয়ম চালু হলে মাছের মূল্যের উপরে প্রভাব পড়বে। এতে ক্রেতার অসন্তোষ সৃষ্টি হবে। তারা মনে করেন, এমনিতেই মাছের বাজার উদ্ধমূখী, এই পরিস্থিতিতে নতুর নোটিশ অনুযায় মাছের মূূল্য আরো বাড়াতে হবে, ফলে ক্রেতার সাথে বিক্রেতাদের সম্পর্কের অবনতির আশংকা তাদের। তাই এ সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মাছ কেনা বেচা বন্ধ রাখা হবে বলে জানান তারা।
এদিকে সকাল থেকে মাছ না কেনায় বিপাকে পড়েছেন আড়তদারেরা। অন্তত অর্ধকোটি টাকার মাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার শংকায় শংকিত তারা। আড়তদারদের দাবী, মাছের উর্দ্ধ মূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রনে মাছের বাজার থেকে খাজনা প্রত্যাহারের। আর মাছ বেচাকেনা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। মাছ কিনতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। দ্রুত এ সংকট নিরশনের দাবীও তাদের।
বাজারের ইজারাদারের প্রতিনিধি জানান, পৌরসভার নির্ধারিত হারেই খাজনা তোলার চেষ্টা করতেরই পাইকারী ক্রেতা/খুচরা ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে  ফরিদপুর পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম জানান, খাজনা তোলা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায় আইন সঙ্গতভাবেই খাজনা তুলতে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। যদিও মাছ কেনা বেচা বন্ধের বিষয়ে তিনি কিছু জানেনা বলে জানান। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ফরিদপুরের হাজী শরিয়তুল্লাহ বাজারে সাড়ে তিন শতাধিক পাইকারী ক্রেতা রয়েছেন। যারা প্রতিদিন  অর্ধ কোটি টাকার মাঠ কেনা বেচা করেন।