ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৭নং পাইকপাড়া ইউনিয়নে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্তৃক ছাত্রদলের কর্মীদের উপর এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছ। এতে করে ছাত্রদলের ৩ জন কর্মী আহত হয়। লোক মারফত জানাজায় ৭ সেপ্টেম্বর (শনিবার) দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটের সময় ইউনিয়নের শাশিয়ালী গ্রামের মজুমদার বাড়ির নিকট রিপন মেম্বারের ক্লাবের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাফাত (১৬), শান্ত (১৬), রাহিম (১৭) জানান, তারা ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী। তারা শনিবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটের সময় মজুমদার বাড়ির সামনের দোকানে চা নাস্তা খেতে যায়। এ সময় হঠাৎ করে স্থানীয় মেম্বার যুবলীগের নেতা রিপন, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হাছান, যুবলীগের নেতা হাবিব কন্টাকটার ছাত্রলীগের নেতা তুহিন তাদেরকে কিল ঘুসি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মার দূর শুরু করে। এতে রাফাতের মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান, শান্ত’র হাত ও গলা কেটে যায়, রাহিমের হাতের তালু ফেটে যায়। বর্তমানে রাফাত ও শান্ত চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বিষয়টি নিয়ে রাফাতের পিতা আব্দুল মালেক ও শান্তর পিতা মুকসুদ আলম জানান, গত ৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমাদের সন্তানরা কেন ছাত্রদের সাথে যোগ দিয়েছে এবং কেন আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে তার কারণেই আজ তারা আমাদের সন্তানদের উপর এই সন্ত্রাসী হামলা করেছে। ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হাছান, স্থানীয় মেম্বার ও যুবলীগের নেতা রিপন, হাবিব কন্টাক্টার, ছাত্রলীগের নেতা তুহিন এরা এখনো এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। আমরা যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে এদের উচিত বিচার চাই। ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা মাসুদ আলম সজীব বলেন, ছাত্রদলের নিরীহ কর্মীদের উপর আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ যে সন্ত্রাসী হামলা করেছে তা মেনে নেয়ার মত না। তিনি এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিন মোল্লা বলেন, স্থানীয় মেম্বার ও যুবলীগের নেতা রিপন তার একটি বাহিনী দিয়ে এখনও এলাকায় ত্রাসের রাজত্বে কায়েম করছে। তিনি নিজে এবং তার বাহিনী দিয়ে আজ আমাদের ছাত্রদলের কর্মীদের উপর মারাত্মকভাবে হামলা করে। এখন ছাত্রদলের কর্মীরা হাসপাতালে ভর্তি আছে। উপজেলা বিএনপির নেতাদের সাথে আলাপ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান।