ফরিদপুর সদর উপজেলার উত্তর কোমরপুর এলাকার সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ, যার রেজিঃ নং-৯৫ । এ সমিতির সভাপতি শংকর হালদার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড , ফরিদপুর থেকে কোমরপুর ও শোভারামপুর এলাকায় (১২+৪)= ১৬ একর জলাশয়, যথাক্রমে (১) শোভারামপুর, কোমরপুর শর্টকার্টের ২য় ক্রসবাঁধ হতে ৩য় ক্রসবাঁধ পর্যন্ত ১২ একর এবং (২) শোভারামপুর শর্টকার্টের ৩য় ক্রসবাঁধ হতে কোমরপুর কুমার নদী পর্যন্ত ৪ একর জলাশয় লিজ নেয়। উক্ত লিজ নেবার জন্য উক্ত সমিতির সভাপতি শংকর হালদার ১০/০৪/২০২৩ ইং তারিখে মাছ চাষের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জলাশয় ইজারা ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১৭/০৫/২০২৩ ইং তারিখ, বাংলা ১৪২৯ হতে ১৪৩১ সাল পর্যন্ত ৩ (তিন) বছর মেয়াদে ইজারা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যা অতনু প্রামানিক, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও মো: আব্দুস সবুর খান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ফরিদপুর পওর উপ-বিভাগ, ফরিদপুরের যৌথ স্বাক্ষরিত।
সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-এর সভাপতি শংকর হালদার জানান, সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ ইজারাপ্রাপ্ত হয়ে মাছ চাষ করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে ২ বছর পর উক্ত এলাকার দেলোয়ার জোয়ার্দার গংরা উক্ত জলাশয় জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে এবং ঐ জলাশয়ে কিছু মাছের পোনাও ছাড়ে।
আমাকে দেলোয়ার জোয়ার্দার, শাহীন জোয়ার্দার, সাত্তার জোয়ার্দার, সিদ্দিক জোয়ার্দার , টুটুল খন্দকার , ওয়াজেদ আলী ব্যাপারী গংরা জোরপূর্বক জলাশয় থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে। আমি এখন ওদের ভয়ে মাছ ধরতে পারছি না, বর্তমানে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। ওরা আমার বড় ধরনের ক্ষতি করে দিতে পারে , আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি ।
তিনি আরও জানান, ফরিদপুর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, মোছাঃ শিরীন শারমিন খাঁন আমাদের সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-কে যাচাই বাছাই করে অত্র প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদের সমিতিকে তিন বছর মাছ চাষের জন্য লিজ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উক্ত এলাকার দেলোয়ার জোয়ার্দার জানান, এলাকার স্বার্থে গরিব মানুষের জন্য আমরা ঐ জলাশয়ে মাছ ছেড়েছি। সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-এর সভাপতি শংকর হালদার আমাদের লিজের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই বিধায় এলাকাবাসী জলাশয়ে মাছের পোনা মাছ চাষের জন্য ছেড়েছেন।