ঢাকা ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে জোরপূর্বক সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের লিজকৃত খাল দখলের অভিযোগ

ফরিদপুর সদর উপজেলার উত্তর কোমরপুর এলাকার সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ, যার রেজিঃ নং-৯৫ । এ সমিতির সভাপতি শংকর হালদার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড , ফরিদপুর থেকে কোমরপুর ও শোভারামপুর এলাকায়  (১২+৪)= ১৬ একর জলাশয়, যথাক্রমে (১) শোভারামপুর, কোমরপুর শর্টকার্টের ২য় ক্রসবাঁধ হতে ৩য় ক্রসবাঁধ পর্যন্ত ১২ একর এবং (২) শোভারামপুর শর্টকার্টের ৩য় ক্রসবাঁধ হতে কোমরপুর কুমার নদী পর্যন্ত ৪ একর জলাশয় লিজ নেয়।  উক্ত লিজ নেবার জন্য উক্ত সমিতির সভাপতি শংকর হালদার  ১০/০৪/২০২৩ ইং তারিখে  মাছ চাষের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জলাশয় ইজারা ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১৭/০৫/২০২৩ ইং তারিখ, বাংলা ১৪২৯ হতে ১৪৩১ সাল পর্যন্ত ৩ (তিন) বছর মেয়াদে ইজারা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যা অতনু প্রামানিক, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও মো: আব্দুস সবুর খান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ফরিদপুর পওর উপ-বিভাগ, ফরিদপুরের যৌথ স্বাক্ষরিত।
সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-এর সভাপতি শংকর হালদার জানান, সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ ইজারাপ্রাপ্ত হয়ে মাছ চাষ করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে ২ বছর পর উক্ত এলাকার দেলোয়ার জোয়ার্দার গংরা উক্ত জলাশয় জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে এবং ঐ জলাশয়ে কিছু মাছের পোনাও ছাড়ে।
 আমাকে দেলোয়ার জোয়ার্দার, শাহীন জোয়ার্দার, সাত্তার জোয়ার্দার, সিদ্দিক জোয়ার্দার , টুটুল খন্দকার , ওয়াজেদ আলী ব্যাপারী  গংরা জোরপূর্বক জলাশয় থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে। আমি এখন ওদের ভয়ে মাছ ধরতে পারছি না, বর্তমানে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। ওরা আমার বড় ধরনের ক্ষতি করে দিতে পারে , আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি ।
 তিনি আরও জানান, ফরিদপুর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, মোছাঃ শিরীন শারমিন খাঁন আমাদের সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-কে যাচাই বাছাই করে অত্র প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করেন।  এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদের সমিতিকে তিন বছর মাছ চাষের জন্য লিজ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উক্ত এলাকার দেলোয়ার জোয়ার্দার জানান, এলাকার স্বার্থে গরিব মানুষের জন্য আমরা ঐ জলাশয়ে মাছ ছেড়েছি। সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-এর সভাপতি শংকর হালদার আমাদের লিজের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই বিধায় এলাকাবাসী জলাশয়ে মাছের পোনা মাছ চাষের জন্য ছেড়েছেন।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাগ্যকুলে সরকারী খাল ভরাটের অভিযোগ প্রভাবশালী ফজল কারিকরের বিরুদ্ধে

ফরিদপুরে জোরপূর্বক সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের লিজকৃত খাল দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:১২:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফরিদপুর সদর উপজেলার উত্তর কোমরপুর এলাকার সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ, যার রেজিঃ নং-৯৫ । এ সমিতির সভাপতি শংকর হালদার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড , ফরিদপুর থেকে কোমরপুর ও শোভারামপুর এলাকায়  (১২+৪)= ১৬ একর জলাশয়, যথাক্রমে (১) শোভারামপুর, কোমরপুর শর্টকার্টের ২য় ক্রসবাঁধ হতে ৩য় ক্রসবাঁধ পর্যন্ত ১২ একর এবং (২) শোভারামপুর শর্টকার্টের ৩য় ক্রসবাঁধ হতে কোমরপুর কুমার নদী পর্যন্ত ৪ একর জলাশয় লিজ নেয়।  উক্ত লিজ নেবার জন্য উক্ত সমিতির সভাপতি শংকর হালদার  ১০/০৪/২০২৩ ইং তারিখে  মাছ চাষের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জলাশয় ইজারা ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১৭/০৫/২০২৩ ইং তারিখ, বাংলা ১৪২৯ হতে ১৪৩১ সাল পর্যন্ত ৩ (তিন) বছর মেয়াদে ইজারা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যা অতনু প্রামানিক, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও মো: আব্দুস সবুর খান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ফরিদপুর পওর উপ-বিভাগ, ফরিদপুরের যৌথ স্বাক্ষরিত।
সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-এর সভাপতি শংকর হালদার জানান, সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ ইজারাপ্রাপ্ত হয়ে মাছ চাষ করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে ২ বছর পর উক্ত এলাকার দেলোয়ার জোয়ার্দার গংরা উক্ত জলাশয় জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে এবং ঐ জলাশয়ে কিছু মাছের পোনাও ছাড়ে।
 আমাকে দেলোয়ার জোয়ার্দার, শাহীন জোয়ার্দার, সাত্তার জোয়ার্দার, সিদ্দিক জোয়ার্দার , টুটুল খন্দকার , ওয়াজেদ আলী ব্যাপারী  গংরা জোরপূর্বক জলাশয় থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে। আমি এখন ওদের ভয়ে মাছ ধরতে পারছি না, বর্তমানে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। ওরা আমার বড় ধরনের ক্ষতি করে দিতে পারে , আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি ।
 তিনি আরও জানান, ফরিদপুর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, মোছাঃ শিরীন শারমিন খাঁন আমাদের সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-কে যাচাই বাছাই করে অত্র প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করেন।  এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদের সমিতিকে তিন বছর মাছ চাষের জন্য লিজ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উক্ত এলাকার দেলোয়ার জোয়ার্দার জানান, এলাকার স্বার্থে গরিব মানুষের জন্য আমরা ঐ জলাশয়ে মাছ ছেড়েছি। সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-এর সভাপতি শংকর হালদার আমাদের লিজের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই বিধায় এলাকাবাসী জলাশয়ে মাছের পোনা মাছ চাষের জন্য ছেড়েছেন।