ঢাকা ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে অতর্কিত হামলা, দুই অন্তঃস্বত্তা নারী সহ আহত-৬ 

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতা ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে  চোখে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে একটি পরিবারের উপর সংঘবদ্ধ  হামলা ও বাড়িঘর ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায়  ২ অন্তঃসত্তা মহিলা, শিশু সহ ৬জন গুরুতর আহত হয়েছে । আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 রবিবার ( ২৫ শে আগষ্ট) দিবাগত রাত ৮ টার দিকে  উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের তারাইল ঈশ্বরদী গ্রামে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় সোমবার ( ২৬ শে আগষ্ট)   ভুক্তভোগী ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও ঘটনায় ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায় , তারাইল  ঈশ্বরদী গ্রামের হবি শেখের সাথে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ দেলোয়ার চৌধুরীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ভাবে বিরোধ ও শক্রতা চলে আসছিল। গত শুক্রবার বিকেলে দেলোয়ার ও তার সহযোগী রাকিব মোড়ল হবি শেখের উপর হামলা চালায়। ঐদিন রাতেই হবি শেখ বাদি হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার(২৫ আগষ্ট)  রাতে আবারো প্রতিপক্ষ দেলোয়ার চৌধুরী, রাকিব মোড়ল সহ তার লোকজন হবি শেখের পরিবারের উপর মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে হামলা ও ভাংচুর করে ।
হামলায় আহতরা হলো, হবি শেখ(৬০) তার স্ত্রী হাফিজা বেগম(৫০), অন্তঃসত্তা দুই মেয়ে সুইটি আক্তার(২৪) ও সাথী আক্তার (২৬), সদ্য সন্তান প্রসব করা আরেক মেয়ে ময়না বেগম(২২) ও নাতিন ছামিরা আক্তার(৬) । আহতরা ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
 হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হবি শেখ  বলেন, থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দেলোয়ারের ভাড়াটে সন্ত্রাসী  উপজেলার গোয়ালদী গ্রামের রাকিব মোড়ল ও সহযোগী ৭/৮ জন সংঘবদ্ধ হয়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই ঘরে ঢুকে মরিচের গুঁড়ো চোখে ছিটিয়ে দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও হামলা চালিয়ে আহত করে এবং ঘর দরজা ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করে টাকা- পয়সা ও স্বর্নালংকার নিয়ে যায়।
 এ ব্যাপারে আহত অন্তঃস্বত্তা সুইটি আক্তার জানান,আমার পরিবারের উপর নারকীয় হামলা চালায়। আমরা ২ বোন অন্তঃ স্বত্তা সত্যেও তারা ক্ষান্ত হয়নি।আমরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর রাতেই হাসপাতালে রাকিব সহ পূনরায় সংঘবদ্ধ হয়ে  বেধড়ক মারধর করে। পরে এক পর্যায়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার এস,আই রাকিব জানান, হামলার ঘটনায় একটা অভিযোগ পেয়েছি। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নিয়েছি। তদন্ত পুর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুকুটিয়ায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-৫

ফরিদপুরে অতর্কিত হামলা, দুই অন্তঃস্বত্তা নারী সহ আহত-৬ 

আপডেট সময় ১২:৩২:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতা ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে  চোখে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে একটি পরিবারের উপর সংঘবদ্ধ  হামলা ও বাড়িঘর ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায়  ২ অন্তঃসত্তা মহিলা, শিশু সহ ৬জন গুরুতর আহত হয়েছে । আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 রবিবার ( ২৫ শে আগষ্ট) দিবাগত রাত ৮ টার দিকে  উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের তারাইল ঈশ্বরদী গ্রামে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় সোমবার ( ২৬ শে আগষ্ট)   ভুক্তভোগী ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও ঘটনায় ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায় , তারাইল  ঈশ্বরদী গ্রামের হবি শেখের সাথে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ দেলোয়ার চৌধুরীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ভাবে বিরোধ ও শক্রতা চলে আসছিল। গত শুক্রবার বিকেলে দেলোয়ার ও তার সহযোগী রাকিব মোড়ল হবি শেখের উপর হামলা চালায়। ঐদিন রাতেই হবি শেখ বাদি হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার(২৫ আগষ্ট)  রাতে আবারো প্রতিপক্ষ দেলোয়ার চৌধুরী, রাকিব মোড়ল সহ তার লোকজন হবি শেখের পরিবারের উপর মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে হামলা ও ভাংচুর করে ।
হামলায় আহতরা হলো, হবি শেখ(৬০) তার স্ত্রী হাফিজা বেগম(৫০), অন্তঃসত্তা দুই মেয়ে সুইটি আক্তার(২৪) ও সাথী আক্তার (২৬), সদ্য সন্তান প্রসব করা আরেক মেয়ে ময়না বেগম(২২) ও নাতিন ছামিরা আক্তার(৬) । আহতরা ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
 হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হবি শেখ  বলেন, থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দেলোয়ারের ভাড়াটে সন্ত্রাসী  উপজেলার গোয়ালদী গ্রামের রাকিব মোড়ল ও সহযোগী ৭/৮ জন সংঘবদ্ধ হয়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই ঘরে ঢুকে মরিচের গুঁড়ো চোখে ছিটিয়ে দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও হামলা চালিয়ে আহত করে এবং ঘর দরজা ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করে টাকা- পয়সা ও স্বর্নালংকার নিয়ে যায়।
 এ ব্যাপারে আহত অন্তঃস্বত্তা সুইটি আক্তার জানান,আমার পরিবারের উপর নারকীয় হামলা চালায়। আমরা ২ বোন অন্তঃ স্বত্তা সত্যেও তারা ক্ষান্ত হয়নি।আমরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর রাতেই হাসপাতালে রাকিব সহ পূনরায় সংঘবদ্ধ হয়ে  বেধড়ক মারধর করে। পরে এক পর্যায়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার এস,আই রাকিব জানান, হামলার ঘটনায় একটা অভিযোগ পেয়েছি। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নিয়েছি। তদন্ত পুর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।