এসময় উপস্থিত ছিলেন এসয়ম রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইয়াজুল হক মেম্বারের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হাজী আওলাদ হোসেন,রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া,রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য হাজী রুবেল ভূঁইয়া,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি সুজন আহম্মেদ,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমীন সরকার,রূপগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব বাতেন পারভেজ,১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মনু,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গোলাম দস্তগীর গাজী মন্ত্রী ও এমপি থাকাকালীন সময়ে প্রভাব খাটিয়ে নিরীহ ও সাধারন মানুষের জমি-জমা জোরপুর্বক জবরদখল করে শত শত কোটি বানিয়েছেন। বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারন মানুষ গাজীর রোষানলে পড়ে নির্যাতন ও অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেক মানুষকে জেল খাটিয়েছেন। গাজীর নির্দেশে চনপাড়ায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নব কিশলয় হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র রোমান মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। অবিলম্বে গোলাম দস্তগীর গাজীর ফাঁসির দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা। সেই সাথে গাজীর দোষরদেরও গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি জানান তারা।
এর আগে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নব কিশলয় হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র রোমান মিয়া (১৭) হত্যাকান্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, গোলাম দস্তগীর গাজী, গোলাম মর্তুজা পাপ্পাসহ ৪৫ জনকে নামী ও অজ্ঞাত ৬০ জনকে আসামী করে গত ২১ আগস্ট নিহত স্কুল ছাত্রের খালা রিনা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গোলাম দস্তগীর গাজীকে গত শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। ডিবির একটি দল শান্তিনগরে এক আত্মীয়র বাসা থেকে গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তার করে। পর তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।