ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্পিডবোট ও ত্রাণ নিয়ে ফেনীর পথে শরীয়তপুরের যুবকরা

বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় একটি স্পিডবোট ও ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে শরীয়তপুরের একদল উদ্যমী যুবকরা।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা।
জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ আকস্মিক বন্যায় ডুবেছে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ বেশ কয়েকটি জেলা। এরমধ্যে ফেনীর অবস্থা খুবই ভয়াবহ। যেখানে বন্যার পানিতে আটকা পড়েছে অসংখ্য মানুষ। ফেনী বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসে শরীয়তপুরের বেশ কিছু শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। তারা বন্যার্তদের সহযোগিতায় অর্থ সংগ্রহে ফান্ড গঠন করেন। পরে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তা নিয়ে একটি স্পিডবোট ঠিক করে অন্তত ১০ স্বেচ্ছাসেবী ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ ত্রাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধসহ বিভিন্ন জরুরি সামগ্রী স্পিডবোটে করে ফেনীর বন্যাদুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান তারা।
স্বেচ্ছাসেবীরা জানান ফেনীর বন্যাদুর্গতদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এই অবস্থায় মানুষ হিসেবে ঘরে বসে থাকতে পারি না। তাই তাদের সাহায্যে শরীয়তপুর থেকে ত্রাণসামগ্রী ও একটি স্পিডবোট নিয়ে রওনা হয়েছি। আমাদের এ ছোট প্রচেষ্টায় তাদের কষ্ট যদি কিছুটা কমে তাহলে সেটাই সার্থকতা। সবাই একসঙ্গে চেষ্টা করলে আমরা এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারব।
সালমান রহমান সিয়াম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, মূলত মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে এ উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা জেলার মানুষের সহযোগিতায় অর্থ সংগ্রহ করে তা নিয়ে ফেনীর বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছি। কিছুটা হলেও তাদের সহায়তা করতে পারব বলে মনে করি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা প্রশংসার যোগ্য। তারুণ্যের এ শক্তিকে ব্যবহার করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। শিক্ষার্থীদের এ প্রচেষ্টা বন্যার্তদের দুর্ভোগ লাঘবে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে বলে আশা করছি।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) মুন্সিগঞ্জে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত 

স্পিডবোট ও ত্রাণ নিয়ে ফেনীর পথে শরীয়তপুরের যুবকরা

আপডেট সময় ১১:১৩:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় একটি স্পিডবোট ও ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে শরীয়তপুরের একদল উদ্যমী যুবকরা।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা।
জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ আকস্মিক বন্যায় ডুবেছে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ বেশ কয়েকটি জেলা। এরমধ্যে ফেনীর অবস্থা খুবই ভয়াবহ। যেখানে বন্যার পানিতে আটকা পড়েছে অসংখ্য মানুষ। ফেনী বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসে শরীয়তপুরের বেশ কিছু শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। তারা বন্যার্তদের সহযোগিতায় অর্থ সংগ্রহে ফান্ড গঠন করেন। পরে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তা নিয়ে একটি স্পিডবোট ঠিক করে অন্তত ১০ স্বেচ্ছাসেবী ফেনীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ ত্রাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধসহ বিভিন্ন জরুরি সামগ্রী স্পিডবোটে করে ফেনীর বন্যাদুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান তারা।
স্বেচ্ছাসেবীরা জানান ফেনীর বন্যাদুর্গতদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এই অবস্থায় মানুষ হিসেবে ঘরে বসে থাকতে পারি না। তাই তাদের সাহায্যে শরীয়তপুর থেকে ত্রাণসামগ্রী ও একটি স্পিডবোট নিয়ে রওনা হয়েছি। আমাদের এ ছোট প্রচেষ্টায় তাদের কষ্ট যদি কিছুটা কমে তাহলে সেটাই সার্থকতা। সবাই একসঙ্গে চেষ্টা করলে আমরা এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারব।
সালমান রহমান সিয়াম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, মূলত মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে এ উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা জেলার মানুষের সহযোগিতায় অর্থ সংগ্রহ করে তা নিয়ে ফেনীর বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছি। কিছুটা হলেও তাদের সহায়তা করতে পারব বলে মনে করি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা প্রশংসার যোগ্য। তারুণ্যের এ শক্তিকে ব্যবহার করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। শিক্ষার্থীদের এ প্রচেষ্টা বন্যার্তদের দুর্ভোগ লাঘবে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে বলে আশা করছি।