শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানাধীন চরকুমারিয়া ইউনিয়নের খাশমহল বাজারে বেপরোয়া হয়ে উঠছে চিহ্নিত জুয়াড়ি ও মাদক কারবারিরা। ইউনিয়টির বেশ কয়েকটি স্পটে অবাধে জুয়ার আসরও মাদকের আস্তানা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। প্রশাসনের একাধিক অভিযানের পরেও বিধ্বংসী এই দুই সমস্যা থেকে নিস্তার মিলছে না এলাকাবাসীর। এতে করে একদিকে জুয়ার ফাঁদে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ অনেকেই, অন্যদিকে মাদকের ভয়াল থাবায় বিনষ্ট হচ্ছে তরুণ- যুবকদের প্রাণ। প্রভাবশালীদের শেল্টার থাকায় বীরদর্পে জুয়া ও মাদকের রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে প্রায় ৫০ জনের একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেট।
নেমেছি যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে মাদক বিরোধী আন্দোলনের সভায় একাধিক বক্তা বলেন, মাদক ও জুয়া সুন্দর পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে দেয়। বর্তমানে এসব অপরাধ সমাজে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। মাদক ও জুয়ার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে যুবসমাজ চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এমনকি মা-বাবাকে মারধর করতেও দ্বিধাবোধ করছে না।
বক্তাদের ভাষ্য, যুবসমাজকে এসব অপরাধ থেকে ফিরিয়ে আনতে জনসচেতনতা প্রয়োজন। মাদক ও জুয়ার আসক্তি থেকে যুবসমাজকে বাঁচাতে পরিবারের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। মাদক কারবারিদের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে হবে।
মাদক ও জুয়া বিরোধী জনসচেতনতামূলক র্যালিটি খাশমহল বাজার থেকে শুরু করে বাংলা বাজার সড়কের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভেদরগঞ্জ উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভি খসরু, বিজয় মাহমুদ, যুব সমাজের সুলতান মাহমুদ, ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ রাজ্জাক, সিরাজ সিকদার কলেজর প্রভাষক মোতালেব মিয়া, সখিপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই এসকে আজিজ, ও এস আই আলতাফ, চরচান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আমীন হাওলাদার, সাবেক প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী তারা, ন্যাশনল ব্যাংকের কর্মকর্তা আলাউদ্দিন, মহন হাওলাদার, ইউপি সদস্য বিল্লাল সরদার, মনসুর বেপারী, ফয়সাল মোল্লা, সাবরি খসরু, মামুন,চরকুমারিয়া ইউনিয়নের সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বর্ণিত এলাকার ছাত্র ও যুব সমাজ প্রমুখ।
আসুন আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর সুসিল সমাজ গড়ে তুলি, মাদকে না বলি খেলা ধুলায় মেতে থাকি।