মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মোটর সাইকেল ভাংচুরসহ টেটাবৃদ্ধ করে ৪ জনকে গুরুত্বর আহত করা হয়েছে।
গত ৮ আগষ্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের কামারগাঁও পাকা ব্রীজ সংলগ্ন জহেরের চায়ের দোকানের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা টেটাবৃদ্ধ আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
আহত সাদ্দাম বলেন, আলামিন বাজার থেকে আমার নানা সম্পর্কের রফিকুল ফোন দিয়ে আমাকে তার সাথে দেখা করতে বললে রুবেলকে নিয়ে আমি আলামিন বাজারে যাওয়ার জন্য হোন্ডা যোগে ঘটনাস্থলে পৌছলে পিছন দিক থেকে পরান ফকির চা খেতে বললে আমি থেমে গিয়ে তার সাথে চা খেতে বসি। এসময় ঐ এলাকার দেলোয়ার খান,ছেলে শিমুল খান,সর্দার আলামিন,সালাম,সিফাত রবিনসহ আরো ১০-১২ জন হাতে চাইনিজ কুড়াল,রামদা,চাপাতি,লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে অর্তকিত আমার উপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও নাকে ঘুষি মেরে আমাকে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় আমার সঙ্গে আসা রুবেল ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম আমার বাড়ীতে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে আমার বড় ভাই ফরহাদ,ফারুক বেপারী ও ভাতিজা আব্দুল্লাহ আমাকে রক্ষার করার জন্য এগিয়ে আসলে শিমুল,আলামিনগং তাদের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে টেটাবৃদ্ধ করে আহত করে এবং ভাতিজার ডান হাত ভেঙ্গে ফেলে। এ ঘটনা দেখে স্থানীয়রা আমাদের রক্ষার্থে এগিয়ে আসলে শিমুলগং আমার সাথে থাকা নগদ দেড় লাখ টাকা ও একটি আইফোন নিয়ে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
স্থানীয় সোহরাব মোল্লা জানান, আমার ছেলে সজীব মোল্লা (১৮) শ্রীনগর সরকারী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। এলাকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শিমুলগংয়ের সাথে সজীবের বিরোধ চলে আসছিল এবং শিমুল, আলামিনগং তাকে মারপিটসহ খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জের ধরে গত ১৬ জুলাই সজীব হোন্ডা যোগে তার বন্ধুর বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে জগন্নাথপট্টি এলাকায় পৌছলে শিমুলগং তাকে বেধম মারপিট করে তার হোন্ডা ভেঙ্গে ফেলে এবং তার কাছে থাকা নগদ টাকা নিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এব্যাপারে আমি বাদীয় শিমুল গংয়ের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এই শত্রুতার জের ধরে দেলোয়ার খান,শিমুল খানগং আমার শ্যালক সাদ্দামের উপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুত্বর আহত করে। বর্তমানে থানায় কার্যক্রম বন্ধ থাকায় থানা চার্জে থাকা সেনা সার্জেন্টকে অবগত করা হয়েছে।