ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের দপ্তর বন্টন

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে দপ্তর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, বাণিজ্য, সশস্ত্র, সড়ক ও পরিবহণসহ গুরুত্বপূর্ণ ২৭ টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিজ হাতে রেখেছেন প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী ইউনূস।

জনপ্রশাসন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ শুক্রবার এক প্রজ্ঞাপনে এই দপ্তর বন্টনের কথা জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন।

ড. ইউনূস যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ পেয়েছেন সেগুলো হচ্ছে-

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান ও পর্য্টন মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয়।

অন্যদের মধ্যে সালেহ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আসিফ নজরুল পেয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়, আদিলুর রহমান খানকে দেওয়া হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়, তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান পরিবেশ ও বন আর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

এছাড়া হাসান আরিফ পেয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ফরিদা আখতার মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়, নুরজাহান বেগম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, শারমিন মুরশিদ সমাজকল্যাণ এবং আ.ফ.ম খালিদ হাসান পেয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম পেয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ডাক পাওয়া আরও তিন উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদিপ চাকমা, চিকিৎসক বিধান রঞ্জন রায় এবং মুক্তিযোদ্ধা ফারুকী আযম বৃহস্পতিবার শপথ না নেওয়ায় তাদের দপ্তর বণ্টন হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শপথ নেওয়ার পর তাদের দপ্তর দেওয়া হবে।

গত ৫ আগস্ট গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তাঁর টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত তিনদিন দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। ফলে ঢাকাসহ সারা দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। দেশজুড়ে সহিংসতায় অনেকেই মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা বৃহস্পতিবার রাতে শপথ নিয়েছেন। মোট ১৭ জন উপদেষ্টা এই সরকারে রয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) মুন্সিগঞ্জে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত 

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের দপ্তর বন্টন

আপডেট সময় ০২:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে দপ্তর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, বাণিজ্য, সশস্ত্র, সড়ক ও পরিবহণসহ গুরুত্বপূর্ণ ২৭ টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিজ হাতে রেখেছেন প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী ইউনূস।

জনপ্রশাসন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ শুক্রবার এক প্রজ্ঞাপনে এই দপ্তর বন্টনের কথা জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন।

ড. ইউনূস যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ পেয়েছেন সেগুলো হচ্ছে-

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান ও পর্য্টন মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয়।

অন্যদের মধ্যে সালেহ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আসিফ নজরুল পেয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়, আদিলুর রহমান খানকে দেওয়া হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়, তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান পরিবেশ ও বন আর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

এছাড়া হাসান আরিফ পেয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ফরিদা আখতার মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়, নুরজাহান বেগম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, শারমিন মুরশিদ সমাজকল্যাণ এবং আ.ফ.ম খালিদ হাসান পেয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম পেয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ডাক পাওয়া আরও তিন উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদিপ চাকমা, চিকিৎসক বিধান রঞ্জন রায় এবং মুক্তিযোদ্ধা ফারুকী আযম বৃহস্পতিবার শপথ না নেওয়ায় তাদের দপ্তর বণ্টন হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শপথ নেওয়ার পর তাদের দপ্তর দেওয়া হবে।

গত ৫ আগস্ট গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তাঁর টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত তিনদিন দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। ফলে ঢাকাসহ সারা দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। দেশজুড়ে সহিংসতায় অনেকেই মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা বৃহস্পতিবার রাতে শপথ নিয়েছেন। মোট ১৭ জন উপদেষ্টা এই সরকারে রয়েছে।