শরীয়তপুরে জেলায় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোতে মানুষ চলাচলের অসুবিধা না হয় এবং সড়কেে যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে এজন্য মুখে বাঁশি নিয়ে দুই হাতের ঈশারায় ট্রাফিক-পুলিশের দায়িত্ব পালন করেছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।পাশাপাশি জেলার সরকারি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তার জন্যও আনসার সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।
আজ বুধবার ( ৭ আগস্ট) সকাল থেকে শরীয়তপুর জেলা শহরের মনোহর মোড়, ধানুকা কলেজ, কোটের মোড়, সদর হাসপাতাল, চৌরঙ্গী মোড়,রাজগঞ্জ ব্রিজ, উত্তর বাজার, বাস স্ট্যান্ড, প্রেমতলা এলাকা ঘুরে পরিদর্শন করেন জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ মইনুল ইসলাম এমন চিত্র দেখা যায়।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর খিলগাও সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা কমান্ড্যান্ট সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা রক্ষায় জেলা প্রসাশন ও পুলিশ সুপারের সাথে সমন্বয় করে ১০ জন ব্যাটালিয়ন আনসার এবং পিসি এপিসি সহ মোট ১২০ আনসার-ভিডিপির সদস্যরা ট্রাফিক কন্ট্রোল ব্যস্ততম শহরের মোড়গুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে বলে শরীয়তপুর জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ মইনুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ মোতায়েন কার্যক্রম চলমান থাকবে।
শরীয়তপুর জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ মইনুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে শরীয়তপুর জেলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় আনসার-ভিডিপির ১২০ জন সদস্য ও ১০ জন ব্যাটালিয়ান আনসার দায়িত্ব পালন করেন। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সব সময় জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। জনগণের পাশে থেকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় নিয়োজিত থাকবে আনসার বাহিনীর সদস্যরা।